মমতার নতুন ঘরের কাজ এগোচ্ছে রাজবাড়ি কমপ্লেক্সে

ঝাড়গ্রাম সফরে এসে এতদিন মুখ্যমন্ত্রী ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের সুবর্ণরেখা স্যুইটে থাকতেন। কিন্তু ওই স্যুইটটি একেবারে রাস্তার ধার ঘেঁষা।

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৯ ০২:০৮
Share:

বদল: ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের এখানেই থাকতেন মুখ্যমন্ত্রী (বাঁ দিকে)। তৈরি হচ্ছে নতুন ঘর। নিজস্ব চিত্র

পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পৃথক ঘর তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তৈরি হচ্ছে পৃথক ভিআইপি গেট।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম সফরে এসে এতদিন মুখ্যমন্ত্রী ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের সুবর্ণরেখা স্যুইটে থাকতেন। কিন্তু ওই স্যুইটটি একেবারে রাস্তার ধার ঘেঁষা। গত বছর অগস্টে ভারী বৃষ্টিতে এলাকার কিছু গরিব মানুষের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। উপযুক্ত নিকাশির অভাবে ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স লাগোয়া কয়েকটি এলাকায় জল জমে গিয়েছিল। গত বছর অগস্টে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের দু’দিন আগের ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে ভাঙচুর চালিয়েছিলেন। জনতার ছোড়া ইট-পাটকেলে সুবর্ণরেখা স্যুইটের জানালার সব কাচ ভেঙে গিয়েছিল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্যুইটটি মেরামত করা হয়। পরে ওই স্যুইটে আরও বার তিনেক থেকে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর থাকার জন্য সুবর্ণরেখা স্যুইটটি উপযুক্ত নয় বলে মনে করছে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা। তাই রাজবাড়ি সরণি থেকে অনেকটাই ভিতরে নতুন স্যুইট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

রাজবাড়ির বাইরে পর্যটন উন্নয়ন নিগম পরিচালিত রাজবাড়ি টুরিস্ট কমপ্লেক্সটি তৈরি হয়েছে রাজ পরিবারের দেওয়া জমিতে। এ জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এক টাকাও নেয়নি রাজ পরিবার। মউ চুক্তিতে কথা ছিল, সরকারি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের লাভের একাংশ পাবে রাজ পরিবার। ২০১৫ সালে সরকারি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সটি চালু হয়। কিন্তু প্রকল্পটি ‘অলাভজনক’ দেখিয়ে চার বছরেও রাজ পরিবারকে কানাকড়ি লভ্যাংশ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ওই প্রকল্পে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য নতুন করে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পর্যটন দফতর। সেখানে কটেজগুলির গঠনগত কিছু অদলবদল ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

Advertisement

রাজ পরিবারের সদস্য জয়দীপ মল্লদেব বলেন ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পৃথক স্যুইট ও ভিআইপি গেট তৈরির সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই হেরিটেজ রাজবাড়ির সিংহ দরজার কাছাকাছি পানশালা চালু হবে শুনছি। আমাদের আপত্তির কথা সংশ্লিষ্ট মহলে জানিয়েছি।’’ জয়দীপ জানান, ঐতিহ্যপূর্ণ রাজবাড়ি ও জনবসতির মধ্যে এমন পানশালা কাম্য নয়। রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে কুলদেবতা রাধারমণের মন্দির, শিবমন্দির ও হনুমান মন্দির রয়েছে। তাই কাছাকাছি এলাকায় পানশালাটি না হলেই ভাল হয়। এ বিষয়ে পর্যটন দফতরের এক আধিকারিক জানান, পানশালাটি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের ভিতরে তৈরি হচ্ছে। ফলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কয়েক বছর চলার পরে নির্দিষ্ট সময়ে রাজ পরিবারকে লভ্যাংশ দেওয়া হবে বলে জানান ওই পর্যটন কর্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন