যম পুজো। — নিজস্ব চিত্র।
‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।…’ ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে মঙ্গল কামনা করে বোনেরা। সমাজের মঙ্গল কামনায় ডেবরায় ভাইফোঁটার দিনে শুরু হল যম পুজো।
মঙ্গলবার ডেবরার লোয়াদা বকুলতলা তরুণ সঙ্ঘের উদ্যোগে যমরাজের পুজোর আয়োজন হয়। তরুণ সঙ্ঘের কালীপুজোর এ বার ছিল ৬০তম বর্ষ। সেই উপলক্ষেই এ বার থেকে কালীপুজোর পর ভাইফোঁটার দিন যম পুজো শুরু হল।
জনশ্রুতি, ডেবরার কাঁসাই নদী ঘেঁষা লোয়াদা এক সময়ে সমৃদ্ধশালী গ্রাম ছিল। জলপথের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে ভাল যোগাযোগ ছিল এই এলাকার। প্রায় তিনশো বছর আগে এই গ্রামে উৎপাদিত ধোলকন (মিচরির একটি ধরন) রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি করা হত। সেই সময় গ্রামের জনসংখ্যাও ছিল বেশি। এক বছর কলেরার প্রকোপে গ্রামের বহু লোকের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের ধারণা হয়, এর পিছনে যমরাজের হাত রয়েছে। সেই থেকে প্রতি বছর ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন গ্রামে যমের পুজো শুরু হয়। এখনও সেই প্রথা মানা হয়। তবে ভাইফোঁটার দিন সমাজের মঙ্গল কামনায় যমের পুজো এ বারই প্রথম।
গ্রামের বাসিন্দা পুজো কমিটির সদস্য তাপস তরোয়াল বলেন, “ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে প্রতি বছর যম পুজো হয়। সমাজের মঙ্গল কামনায় এ বার থেকে ভাইফোঁটার দিনও যম পুজো চালু করলাম।’’ মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হয় পুজো। পুজোর প্রসাদে দেওয়া হয়েছে শশা। পুজোর পরেই ঘট বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। তবে যমের মূর্তি রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের দেখার জন্য।