অবহেলায়: এভাবেই পড়ে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন জিপটি। নিজস্ব চিত্র
বেলপাহাড়ি ব্লক অফিসের পিছনে একটি নিম গাছের তলায় যেন থমকে গিয়েছে সময়!
বছরের পর বছর রোদ-জল-ঝড় সয়ে চলেছে ব্রিটিশ আমলের একটি জিপের কঙ্কাল। জিপটি স্বাধীনতার আগে ইংরেজ জমিদারি কোম্পানির আমলে কেনা হয়েছিল। বেলপাহাড়ির বর্তমান বিডিও অফিসটি ওই সময় ছিল মেদিনীপুর জমিদার কোম্পানির কাছারি বাড়ি।
১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে মিরজাফর দ্বিতীয়বার বাংলার নবার হওয়ার পরে শিলদার বেলপাহাড়ির বিস্তীর্ণ অংশ চলে যায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ব্রিটিশ রাজের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘মেদিনীপুর জমিদারি কোম্পানি’র অধীনে। বেলপাহাড়ির বিশাল এলাকা জুড়ে কাছারি বাড়ি হয়। ইংরেজ জমিদারের জন্য বাংলোও তৈরি হয়। ১৯৫৩ সালে জমিদারি প্রথা বিলোপ হয়।
পুরনো নথি অনুযায়ী, স্বাধীনতার আগে ওই জিপটি ইংরেজ জমিদারি কোম্পানির আমলে কেনা হয়েছিল। পরবর্তীকালে ১৯৫৭ সালে বেলপাহাড়ি ব্লক গঠনের পরে প্রথম বিডিও অশ্বিনী বন্দ্যোপাধ্যায় ওই জিপে চড়তেন। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত জিপটি ব্লকের প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করা হত। পরে জিপটি কাছারি বাড়ির গ্যারাজে রেখে দেওয়া হয়। এখন সেই গ্যারাজটি সংস্কার করে অন্য গাড়ি রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। জিপটিকে নিমগাছের তলায় রাখা হয়েছে।
স্থানীদের বক্তব্য, জিপটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। প্রাক স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা উত্তর সময়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে জিপটিকে সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন অনেকে। জেলার অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্ত বলেন, “নম্বর প্লেট অনুযায়ী জিপটি বহু পুরনো। মডেল নম্বর পেলে কবেকার তৈরি বলা যেত।’’