অনগ্রসর শ্রেণির জন্য কমিশন

ঘরের মধ্যে মহিলা খুন ভাদুতলায়

সবিতাদেবীর ঘরে কিছু গরু-ছাগল রয়েছে। তিনি গরু-ছাগল পালন করতেন। পুলিশের একাংশ মনে করছে, দুষ্কৃতীরা ওই গরু-ছাগল চুরি করতে ঘরে ঢুকেছিল। মহিলা বাধা দিয়েছিলেন। হয়তো দুষ্কৃতীদের চিনেও ফেলেছিলেন। সম্ভবত সেই জন্যই তাঁকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্বামী, ছেলে, বৌমাদের কেউই ছিলেন না। ফাঁকা বাড়িতে নিজের ঘরের মধ্যেই খুন হয়ে গেলেন এক মহিলা। নিহতের নাম সবিতা দাস (৫০)। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির ভাদুতলায়। দেহ উদ্ধার হয়েছে মঙ্গলবার সকালে।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তাঁর গলায় দাগ রয়েছে। কানের পাশেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন সবিতাদেবীর পরিজনেরা। ধোঁয়াশায় পুলিশও। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জেনেছেন, সবিতাদেবীর সঙ্গে তেমন কারও শত্রুতা ছিল না। পারিবারিক অশান্তিও ছিল না।

তাহলে?

Advertisement

সবিতাদেবীর ঘরে কিছু গরু-ছাগল রয়েছে। তিনি গরু-ছাগল পালন করতেন। পুলিশের একাংশ মনে করছে, দুষ্কৃতীরা ওই গরু-ছাগল চুরি করতে ঘরে ঢুকেছিল। মহিলা বাধা দিয়েছিলেন। হয়তো দুষ্কৃতীদের চিনেও ফেলেছিলেন। সম্ভবত সেই জন্যই তাঁকে খুন করা হয়েছে। তবে অন্য কারণ থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তার আশ্বাস, ‘‘তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শীঘ্রই ধোঁয়াশা কেটে যাবে।’’

খুনের ঘটনাটি ঘটে সোমবার গভীর রাতে। সবিতাদেবীর বড় ছেলে শম্ভুনাথ দাস বলছিলেন, “মা ঘরে একাই ছিলেন। আমি শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম। গভীর রাতে স্থানীয় একজনের কাছে খবর পেয়েই তড়িঘড়ি আসি। কিন্তু ততক্ষণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে।’’ তিনি বলেন, “কে বা কারা মা-কে খুন করল কিছুই বুঝতে পারছি না। আমাদের সঙ্গে তো কারও কোনও ঝামেলাও ছিল না।”

শালবনির গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে ভাদুতলা অন্যতম। এই এলাকার উপর দিয়েই চলে গিয়েছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাতেও এখানে পুলিশ মোতায়েন থাকে। তারমধ্যেই এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পরিজনেদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, “এমন ঘটনার ক্ষেত্রে কিছু সূত্র উঠে আসে। এ ক্ষেত্রেও সেই সূত্রের খোঁজ চলছে। নিশ্চয়ই দ্রুত ঘটনার কিনারা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন