Coronavirus in Midnapore

নমুনা না দিয়েও নেগেটিভ যুবতী

বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালের সাফাইকর্মী এক যুবতী গত ১০ অগস্ট অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করান। পরীক্ষার রিপোর্ট আসে নেগেটিভ।

Advertisement

বিশ্বসিন্ধু দে

বেলদা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২০ ০০:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

দু’বার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। একবার নেগেটিভ। একবার পজ়িটিভ। আরেকবার লালরসের নমুনা না দিয়েও এল রিপোর্ট। ‘আরটিপিসিআর পরীক্ষায় আপনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে’— বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতর ফোনে এ কথা জানানোর পরই বিভ্রান্তিতে পড়েছেন এক যুবতী। বুঝে উঠতে পারছেন না এখন তাঁর কী করণীয়।

Advertisement

বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালের সাফাইকর্মী এক যুবতী গত ১০ অগস্ট অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করান। পরীক্ষার রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এর কিছুদিন পরে ওই হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী-সহ চারজন কর্মীর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। ওই যুবতী হাসপাতালে যান লালরসের নমুনা দিতে। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, এখনই আরটিপিসিআরে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। আরেকবার অ্যান্টিজেন টেস্ট করালেই হবে। পরামর্শ মেনে ১৭ অগস্ট ফের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করান ওই যুবতী। ওই দিনই রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। উপসর্গ না থাকায় বর্তমানে তিনি বাড়িতেই আছেন।

বিভ্রান্তি বাড়ে বুধবার রাতের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের রিপোর্টে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী যুবতী করোনা আক্রান্ত হননি। এ দিন সকাল থেকে শুরু হয় ফোন। পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর যুবতীকে দফায় দফায় ফোনে জানায়, তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাঁর কথায়, ‘‘সকাল থেকে পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতর ফোন করে জানাচ্ছে। আমি যে রিপোর্ট করাইনি তার পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে কী করে! এ নিয়ে তো সমস্যায় পড়ছি।" তবে ব্লকের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘অ্যান্টিজেন টেস্টে উনি (যুবতী) পজ়িটিভ। লালারসের নমুনা দিয়েছেন কি না, বা কী হয়েছে দেখতে হবে।’’

Advertisement

এ দিন বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালের আরও একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অ্যান্টিজেন টেস্টে পজ়িটিভ এসেছে তাঁর। গত ১৭অগস্ট হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট, অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী-সহ মোট চারজন আক্রান্ত হয়েছিলেন। আক্রান্তেরা সকলেই হাসপাতালে আলাদা কক্ষে ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, কোভিড হাসপাতাল না হওয়া সত্ত্বেও কেন তাদের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। চাপের মুখে মোট পাঁচজনকে এ দিন হাসপাতাল থেকে খড়্গপুরে সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে হাসপাতাল চত্বরকে গণ্ডিবদ্ধ করেছে প্রশাসন। কয়েকদিন আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন নারায়ণগড়ের বিডিও বিশ্বজিৎ ঘোষ। নিজের আবাসনেই ছিলেন। এ দিন তাঁকেও শালবনি করোনা হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন