প্রার্থী পাবে না কংগ্রেস, কটাক্ষ

নাম না করে গেরুয়া শিবিরকেও নিশানা করেন অভিষেক বলেন, ‘‘যাঁরা ধর্মের ভিত্তিতে বাংলাকে ভাগ করতে চায় তাঁরা কোনওদিন বাংলার বন্ধু হতে পারে না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সবং শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭ ০২:০২
Share:

ফাইল চিত্র।

আগামীদিনে নির্বাচন হলে সবং থেকে প্রার্থী খুঁজে পাবে না কংগ্রেস — সবংয়ের মাটিতে দাঁড়িয়েই কংগ্রেসকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়়ে দিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে গেরুয়া শিবিরকেও নিশানা করেন অভিষেক বলেন, ‘‘যাঁরা ধর্মের ভিত্তিতে বাংলাকে ভাগ করতে চায় তাঁরা কোনওদিন বাংলার বন্ধু হতে পারে না।’’

Advertisement

আগামী ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে বুধবার সবংয়ের তেমাথানিতে সভার আয়োজন হয়। সভায় অভিষেক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি, খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার প্রমুখ।

গত সেপ্টেম্বর মাসে মানস ভুঁইয়া-সহ কংগ্রেসের সবংয়ের একঝাঁক নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। তারপরে সবংয়ে সভা করে গিয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী, কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নানরা। তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, মানসবাবু অনেকদিন ধরেই চাইছিলেন অভিষেক সবংয়ে এসে সভা করুক। সেই মতোই এ দিনের সভার আয়োজন হয়। সভায় অভিষেক বলেন, ‘‘কংগ্রেসের নীতি, আদর্শ নেই। মানসদার কথায় ওরা ‘জগাই-মাধাই’ সর্বস্ব। সবংয়ের সাতবারের বিধায়ককে যে ভাবে ওঁরা অপমান করেছেন তা কল্পনা করা যায় না। আমাদের নেত্রী মানসবাবুকে সম্মানের সঙ্গে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন।”

Advertisement

বিজেপির সঙ্গে সিপিএমের আঁতাতের অভিযোগেও সরব হন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সিপিএম কৌটো বাজিয়ে টাকা তোলা, সন্ত্রাস, ধর্ষণের শিল্প করত। যাঁরা লাল গেঞ্জি পরে ঘুরত তাঁরাই এখন গেরুয়া পাঞ্জাবি পরে ঘুরছে। আগে ছিল ছদ্মবেশী এখন হয়েছে পদ্মবেশী।”

বিজেপিকে বিঁধে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘‘ওঁরা হিন্দু-মুসলমান বিভাজন করে আমাদের অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়। যদি বাংলায় যুদ্ধ হয় তবে হিন্দু-মুসলমান নয়, ১০ কোটি বঙ্গবাসীর সঙ্গে বিজেপির যুদ্ধ হবে।”

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “যাঁরা আমাদের আন্দোলনকে সামনে রেখে সততার সঙ্গে দল করবেন তাঁদের স্বাগত জানাই। কিন্তু যাঁরা ধান্দাবাজির জন্য দল করবেন তাঁদের জন্য দলে কোনও জায়গা নেই।”

এ দিন অভিষেকের হাতে নানা উপহার তুলে দেওয়া হয়। দাঁতনের তসরের পাঞ্জাবি থেকে সবংয়ের মাদুর— ডালিতে ছিল রকমারি উপহার। এ দিন মানসবাবুও বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নেওয়ার পরে আমি ওকে এখানে আসতে বলেছিলাম। উনি কথা রেখেছেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে আজ পূর্ণতা পেলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন