নেশার সামগ্রী ব্যবহার বন্ধে উদ্যোগ প্রশাসনের

প্রকাশ্যে ধূমপান বা তামাক জাতীয় নেশার সামগ্রী ব্যবহার বন্ধে এ বার উদ্যোগী হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সঙ্গে নাবালকদের সিগারেট, মদ বা যে কোনও মাদক বিক্রি করাও যে বেআইনি, তার প্রচারও শুরু হল। প্রাথমিক ভাবে জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ-সহ সরকারি দফতরগুলিতে তামাক জাতীয় দ্রব্য ব্যবহারের অপকারিতা নিয়ে সচেতনতা শিবিরও শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৪৮
Share:

পাশেই শিশু, হুঁশ নেই। —নিজস্ব চিত্র

প্রকাশ্যে ধূমপান বা তামাক জাতীয় নেশার সামগ্রী ব্যবহার বন্ধে এ বার উদ্যোগী হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সঙ্গে নাবালকদের সিগারেট, মদ বা যে কোনও মাদক বিক্রি করাও যে বেআইনি, তার প্রচারও শুরু হল। প্রাথমিক ভাবে জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ-সহ সরকারি দফতরগুলিতে তামাক জাতীয় দ্রব্য ব্যবহারের অপকারিতা নিয়ে সচেতনতা শিবিরও শুরু হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “কালী পুজো পর্যন্ত প্রচার চলবে। তামাক জাতীয় নেশা সামগ্রী ব্যবহারে শরীরে কী প্রভাব পড়ে এবং আইন না-মেনে বিক্রি করলে শাস্তির বিষয়টিও তুলে ধরা হচ্ছে শিবিরে।’’

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, নাবালকদের সিগারেট বিক্রি করলে এখন দোকান মালিকের সাত বছরের জেল-সহ এক লক্ষ টাকা জরিমানা হওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে। এ ছাড়াও লোকালয়ে ধূমপান বা সরকারি দফতরের সিগারেট বা তামাক জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করলে ২০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। মূলত প্রচারের অভাব সঙ্গে প্রশাসনের উদাসীনতায় এই আইন এখনও কাযর্করী হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে প্রকাশ্যেই ধূমপান থেকে নাবালকদের হাতে সিগারেট-সহ নেশার সামগ্রী তুলে দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তার কথায়, “এতদিন সরকারের কোনও হুঁশ ছিল না। সম্প্রতি রাজ্য সরকার নাবালকদের নেশার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে জুভেলাইন জাস্টিস (কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন অব চিলড্রেন) আইনের উপর জোর দিয়েছে। গোটা রাজ্য জুড়েই প্রচার শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

দিন কয়েক ধরেই জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে স্কুল-কলেজগুলিকে বেছে নিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জেলার ২৯টি ব্লকে (ঝাড়গ্রাম সহ) একটি করে স্কুল এবং প্রতি মহকুমায় একটি করে কলেজে এখন প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

জেলার সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের নেতৃত্বে দশজনের একটি দল ইতিমধ্যেই বারটি স্কুল এবং দু’টি কলেজে শিবির করার পাশাপাশি লিফলেট বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবীন্দ্রনাথবাবুর কথায়, ‘‘তামাক জাতীয় নেশা ব্যবহার করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনাও থাকে। শিবিরে আমরা বিস্তারিত ভাবে এই সবই বোঝাচ্ছি। সঙ্গে আইনের কথাটিও তুলে ধরছি।” ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “এখন জোরকদমে প্রচার শুরু হয়েছে। দ্রুত ধড়পাকড়ও শুরু হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন