ফের ডেঙ্গি রেলশহরে, সতর্ক হওয়ার বার্তা

ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কোথায় কোথায় ফাঁক রয়েছে, তা নিয়েই এ দিন আলোচনা হয়। আগামীদিনে যাতে সমীক্ষক দল প্রতিটি বাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও এলাকা খুঁটিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেয় সেই বার্তাও দেন তিনি। যদিও বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মানবেন্দ্রবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০০:৫৮
Share:

গত বছর রেলশহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দু’শো ছাড়িয়েছিল। এ বছরের শুরু থেকেই মশাবাহিত এই রোগ নিয়ন্ত্রণে কোমর বাঁধে স্বাস্থ্য দফতর। তবে চলতি বছরেও এখনও পর্যন্ত জেলায় চার জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে ৩জনই খড়্গপুরের বাসিন্দা। এতেই ঘুম ছুটেছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। ডেঙ্গি রোধে বিশেষ বৈঠকে আরও সতর্ক নজর রাখতে বলা হল সমীক্ষক দলকে।

Advertisement

ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির সঙ্গে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের পাঁচটি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পতঙ্গবাহিত রোগের নোডাল অফিসার মানবেন্দ্র ঘোষ। গত বৃহস্পতিবার টাস্কফোর্স কমিটির সম্পাদক অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পালের সঙ্গে খড়্গপুর শহরের তিনটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন মানবেন্দ্রবাবু। তারপরে এ দিন পুরসভায় ওই বৈঠকে তিনি যোগ দেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম নিয়োগী, মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার, পতঙ্গবাহিত রোগের জেলার নোডাল অফিসার রবীন্দ্রনাথ প্রধান, দেবাশিস পাল, পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার প্রমুখ।

ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কোথায় কোথায় ফাঁক রয়েছে, তা নিয়েই এ দিন আলোচনা হয়। আগামীদিনে যাতে সমীক্ষক দল প্রতিটি বাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও এলাকা খুঁটিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেয় সেই বার্তাও দেন তিনি। যদিও বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মানবেন্দ্রবাবু।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় শহরের পরিচ্ছন্নতার কাজ ভাল হয়েছে বলে প্রশংসা করেছেন মানবেন্দ্রবাবু। গত বৃহস্পতিবার তিনি শহরের ১২, ১৮ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুরে দেখেন। গত বছরে এই সব ওয়ার্ডেই ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, ওই সমস্ত ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়ির পিছনে জল জমে থাকতে দেখা গিয়েছে। কয়েকটি জায়গায় ডেঙ্গির মশার লার্ভাও দেখা গিয়েছে। তাই সমীক্ষক দল যাতে প্রতিটি বাড়ির পিছনের এলাকা ভাল করে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেয় ও লার্ভা সঠিকভাবে শনাক্ত করে তার ওপরও জোর দিতে বলা হয়েছে।

খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপবাবু বলেন, “ডেঙ্গি রোধে জানুয়ারি মাস থেকেই সতর্ক নজর রেখেছি। আরও যাতে ভাল করে কাজ করা যায় সে জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিক কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলি মেনে চলা হবে।” এ দিন বিভিন্ন নির্মীয়মাণ বাড়িও ঘুরে দেখার কথা উঠে এসেছে বৈঠকে। যদি কোনও নির্মীয়মাণ বাড়িতে ডেঙ্গির মশার লার্ভা বা জল জমে থাকতে দেখা যায়, তবে সেখানেও নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক।

খড়্গপুরের টাস্কফোর্স কমিটির সম্পাদক দেবাশিসবাবু বলেন, “শহরে পরিদর্শনের পরে পতঙ্গবাহিত রোগের রাজ্যের নোডাল অফিসার খুশি। তবে আগামীদিনে যাতে আরও ভাল করে কাজ হয় এবং কোনওরকম যাতে ফাঁক না থাকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।” পতঙ্গবাহিত রোগের জেলার নোডাল অফিসার রবীন্দ্রনাথবাবুও বলেন, “এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। প্রতি বছর এই সময় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমই থাকে। কিন্তু বর্ষায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। তাই যাতে বর্ষায় আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনা যায় তার জন্যই এই বৈঠক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন