পঞ্চায়েতে ঢুকতে বাধার নালিশ, ঘেরাও

গ্রাম পঞ্চায়েতে বৈঠক নিয়ে গোলমালে জড়াল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। রাত পর্যন্ত ঘেরা করে রাখা হল পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপ ঢলকে। বৃহস্পতিবার সবংয়ের বলপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৩
Share:

গ্রাম পঞ্চায়েতে বৈঠক নিয়ে গোলমালে জড়াল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। রাত পর্যন্ত ঘেরা করে রাখা হল পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপ ঢলকে। বৃহস্পতিবার সবংয়ের বলপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এ দিন নির্ধারিত সময়ে বৈঠক না হওয়ার অভিযোগে সরব হন পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের বিরোধী গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত কয়েকজন সদস্য। শুরু হয় দু’পক্ষের হাতাহাতি। পরে দুর্নীতির অভিযোগে তুলে প্রধানকে ঘেরাও করে রাখে বিরোধী গোষ্ঠীর লোকেরা। কিছুক্ষণ ঘেরাও চলার পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত বলপাই পঞ্চায়েতের প্রধান সন্দীপবাবুর গোষ্ঠীর সঙ্গে উপ-প্রধান সুকুমার প্রামাণিকের গোষ্ঠীর বিরোধ রয়েছে আগে থেকেই। উপ-প্রধানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত দলের কর্মীদের দাবি, গাছ কাটা থেকে শুরু করে নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন প্রধান। প্রতিবাদ করতে গেলেই তাঁর অনুগামীদের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতের নানা কাজকর্ম নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বৈঠক শুরু না হওয়ার অভিযোগে সরব হন উপ-প্রধান সুকুমারবাবুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা।

উপ-প্রধান সুকুমারবাবুর অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত প্রধান নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। ওঁর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে গাছ কাটার অভিযোগ করেছিলাম। নির্ধারিত সময়ে বৈঠক শুরু হল না কেন, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন করতেই আমাদের পঞ্চতায়েতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘আমাদের এক কর্মাধ্যক্ষকেও ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে পঞ্চায়েতের বাইরে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাই।” অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপবাবুর দাবি, “উপ-প্রধান-সহ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য বারবার মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। পঞ্চায়েতের বৈঠক নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পরে শুরু হওয়া নিয়ে অশান্তি করে ওঁরা আমাদের ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন