রেশন কার্ড-আধার নম্বর সংযুক্তির লক্ষ্যপূরণে হিমশিম বয়স্ক ডিলারেরা

আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে উপভোক্তাদের আধার নম্বর লিঙ্ক করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৫৬
Share:

চলছে সংযুক্তিকরণ।

ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে খাদ্য দফতর। সেই লক্ষ্যপূরণে জেরবার জেলার বয়স্ক রেশন ডিলারেরা। তাঁদের অভিযোগ, দোকান সামলে ওই কাজ করতে গিয়ে অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে।

Advertisement

আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে উপভোক্তাদের আধার নম্বর লিঙ্ক করতে হবে। ডিলারদের একাংশের অভিযোগ, ওই কাজ করার জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণ এবং যন্ত্র দেওয়া হয়েছে ঠিকই। তবে সারাদিন রেশন দোকানে গ্রাহকদের সামলানোর পাশাপাশি ওই কাজ করতে তাঁদের অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়া, ডিলারদের অনেকেই বয়স্ক হওয়ার কারণে ওই যন্ত্র নিয়ে কাজ করতে অসুবিধায় পড়ছেন বলে অভিযোগ।

‘ওয়েস্ট বেঙ্গল এম আর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনে’র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক মাধব পাঁজা বলেন, ‘‘রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগের কাজ রেশন ডিলারের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু জেলার প্রায় ৮০০ ডিলারের মধ্যে প্রায় ৪০০ জনই বয়স্ক। তাই যন্ত্রের কাজে তাঁরা হিমসিম খাচ্ছেন। সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য জেলা খাদ্য দফতরের দাবি জানিয়েছি।’’

Advertisement

জেলা খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় ৫৪ লক্ষ রেশনকার্ড রয়েছে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে জেলায় রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগের কাজ শুরু করেছেন ডিলাররা। সোমবার পর্যন্ত জেলায় প্রায় ২০ লক্ষ রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ করা হয়েছে। কিন্তু চলতি মাসের বাকি ২০ দিনে আরও প্রায় ৩৪ লক্ষ সংযোগ করার লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। ডিলদের দাবি, এতে তাদের আরও চাপ বেড়েছে।

তমলুক শহরের বড় বাজারে রেশন দোকান রয়েছে মেঘনাদ সামন্তের। মঙ্গলবার সকালে দোকানে গিয়ে দেখা গেল লম্বা লাইন। গ্রাহকদের রেশন বণ্টনের পাশাপাশি যন্ত্র নিয়ে কার্ড-সংযোগের কাজও করছেন বছর পঞ্চান্নের মেঘনাদ। তিনি বলেন, ‘‘আমার দোকানে ৪,৬০০ রেশন গ্রাহক রয়েছেন। ২০ নভেম্বর থেকে সংযোগের কাজ শুরু করেছি। বয়সের কারণে রেশন বণ্টনের পর সারাদিন এই কাজ করতে অসুবিধা হয়। প্রতিদিন গড়ে ১০০-১২০ রেশন কার্ডে আধার নম্বর সংযোগ করতে পারছি। কিন্তু অর্ধেকেরও বেশি কাজ বাকি। এদিকে, খাদ্য দফতর থেকে প্রায়ই তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। বাকি ২০ দিনে কাজ সম্পূর্ণ হবে কি না, সে নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।’’

ডিলারদের সমস্যার কথা শুনে জেলা খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই কাজের জন্য ডিলারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তারপরে জেলায় দিনে গড়ে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার রেশন কার্ডে আধার সংযোগ হচ্ছে। বয়স্ক রেশন ডিলারেরা যদি মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের কাছে আবেদন জানান, ফের তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন