জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে শিক্ষক নিয়োগ না করে নামমাত্র বেতনে ইন্টার্ন শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই অভিযোগে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন শিক্ষকেরা।
বৃহস্পতিবার তমলুকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) অফিসের সামনে জমায়েত হন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সদস্য-সমর্থকেরা। তাঁরা রাজ্য সরকারের ঘোষিত ‘ইন্টার্নশিপ’ শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক পূর্ণচন্দ্র সামন্ত, জেলা সভাপতি মনীষীরঞ্জন গিরি, তমলুক মহকুমা সহ-সভাপতি যুধিষ্ঠির দত্ত প্রমুখ। পরে সংগঠনের তরফে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সংগঠনের নেতৃত্বের অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়মিত ভাবে না হওয়ায় বহু শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। ওই সব পদে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের পরিবর্তে মাত্র দু’হাজার এবং আড়াই হাজার টাকা বেতন দিয়ে ইন্টার্ন শিক্ষক নামে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে ওই সব যুবক–যুবতীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হলে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আরও গুরত্ব হারাবে। উল্টে সন্তানদের পড়ানোর জন্য অভিভাবকদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে ঝোঁক বাড়বে।
এই একই বিষয়ে এ দিন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই’র জেলা কমিটির তরফে তমলুক শহরে মানিকতলায় বিক্ষোভ মিছিল হয়। তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকেও জেলা প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মানিকতলা মোড়ের কাছে রাজ্য সরকারের ওই ঘোষণাপত্র পুড়িয়ে প্রতিবাদ করা হয়। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়েক, জেলা সভাপতি নাজির হোসেন প্রমুখ। পরিতোষের দাবি, ‘‘ইন্টার্ন শিক্ষক নিয়োগের পরিবর্তে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও টেটের মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ীভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করতে হবে।’’