দোকান সরানোর পরিকল্পনা, বিক্ষোভ

দুই সেতুর মাঝে চর এলাকায় বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য দোকানঘর সরানোর পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ময়নার বলাইপণ্ডা বাজারের কাছে চণ্ডিয়া নদীর উপর দুটি সেতুর কাছে বিক্ষোভ চলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চণ্ডিয়া সেতুর মাঝে চর এলাকায় পূর্ত দফতরের সড়কের দু’পাশের জায়গা দখল করে প্রায় ৭০ টি দোকানঘর ও ১২ টি বসতবাড়ি গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৫ ০১:২১
Share:

দুই সেতুর মাঝে চর এলাকায় বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য দোকানঘর সরানোর পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ময়নার বলাইপণ্ডা বাজারের কাছে চণ্ডিয়া নদীর উপর দুটি সেতুর কাছে বিক্ষোভ চলে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চণ্ডিয়া সেতুর মাঝে চর এলাকায় পূর্ত দফতরের সড়কের দু’পাশের জায়গা দখল করে প্রায় ৭০ টি দোকানঘর ও ১২ টি বসতবাড়ি গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। এদিকে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কার প্রকল্পে চণ্ডিয়া নদী সংস্কার কাজ চলছে। এর ফলে নদীর চর কেটে নদীর মাটি তোলা চলছে। চণ্ডিয়া নদীর উপর দুই সেতুর মাঝে পাকা সড়কের দু’ধারে চর এলাকার জায়গা ভরাট করে স্থানীয় পরমানন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েত বাসস্ট্যান্ড গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর ফলে ওই এলাকায় থাকা বসতবাড়ি ও দোকানদারদের উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় দোকানদার ও বাসিন্দারা।

এ দিন বিক্ষোভকারী স্থানীয় বাসিন্দা অজিত দাস, জাভেদ খানের অভিযোগ, “এই এলাকায় ৩০ বছর ধরে বাস করছি। কিন্তু নদী সংস্কারের জন্য আমাদের উচ্ছেদ করা হলে আমরা যাব কোথায়?” এ দিন বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া ময়নার কংগ্রেস নেতা সন্দীপ সামন্ত ও বলাইপণ্ডা বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নিশিকান্ত বেরা বলেন, “যেভাবে বাসস্ট্যান্ড গড়ার জন্য চর ভরাট করা হচ্ছে তাতে নদী সংস্কারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। বন্যার আশঙ্কা বাড়বে। নদীর চর ভরাট করার প্রতিবাদ জানিয়ে সেচ দফতরের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

পরমানন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মৃণাল সামন্তর কথায়, “বলাইপন্ডায় নদীর মাঝে ওই চর এলাকায় মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্যই বাসস্ট্যান্ড গড়ার জন্য প্রাথমিকভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের দখলে থাকা জায়গার কিছুটা অংশ ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগ ঠিক নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন