আইআইটি-র কাজে অন্য সংগঠনের শ্রমিকরা সুযোগ পেলেও তাঁদের শ্রমিকরা সুযোগ পাচ্ছে না, এই অভিযোগে খড়্গপুর আইআইটিতে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। বৃহস্পতিবার আইআইটির ‘হল ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’-এর সামনে ওই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিজেপির শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর মোর্চার সঙ্গে সামিল হয় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাও।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তৃণমূল ও সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন থেকে বিভিন্ন হলে (হস্টেল) ঠিকাকর্মী ও নির্মাণকর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। অথচ সেখানে জায়গা পাচ্ছে না মজদুর মোর্চা। এ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন শহরের বিজেপি নেতা সুমন্ত বিশ্বাস, আকাশ কুমার, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা দীপঙ্কর দাস প্রমুখ। সকাল দশটা থেকে ঘন্টা খানেক বিক্ষোভ চলে। দাবি পূরণ না হলে প্রতিদিন বিক্ষোভ হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
পড়ুয়াদের থাকার জন্য আইআইটিতে মোট ১৯টি হল রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি হলে মেস রয়েছে। ফলে, ১৫টি হল পরিচালনার জন্য কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে মদনমোহন মালব্য, বিসি রায়, মাদার টেরেজা, নেহরু হল-সহ ৮টি হলের পরিচালনা আইআইটি কর্তৃপক্ষ সরাসরি করেন। আর বিদ্যাসাগর, রানি লক্ষ্মীবাই, মেঘনাদ সাহা, পটেল, আশুতোষ মুখোপাধ্যায় হল-সহ ৭টি হল পরিচালনা করে ঠিকাদার সংস্থা। প্রতিটি হলেই সুইপার, মেস ওয়ার্কার-সহ বহু ঠিকাকর্মী আচেন। এছাড়া একাধিক হল নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে চাই নির্মাণ শ্রমিক। মজদুর মোর্চার অভিযোগ, ঠিকাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সিপিএম, তৃণমূল, কংগ্রেসের মতো দলগুলির শ্রমিকদের একচেটিয়া সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার শ্রমিকেরা সেই সুযোগ পাচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে গত সোমবার হল ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে আবেদন জানায় মজদুর মোর্চা। বিজেপির শহর সম্পাদক সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, “আমরা তিন দিন আগে চিঠি দিয়ে শ্রমিক নিয়োগের জন্য আলোচনার জন্য আইআইটি কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের কথায় কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই বিক্ষোভ দেখিয়েছে।’’ আইআইটির অধ্যাপক তথা ‘হল ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’-এর চেয়ারম্যান পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঠিকাকর্মী নিয়োগের বিষয়টি আইআইটি কর্তৃপক্ষ সরাসরি দেখেন না। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাগুলি ওই শ্রমিক নিয়োগ করে। তবে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এমন বিক্ষোভ চললে নিরাপত্তারক্ষীরা ব্যবস্থা নেবে।’’