দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
অস্থায়ী কর্মীদের জায়গায় সরকার স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করেছে। ফলে কাজ হারিয়েছেন দশজন অস্থায়ী কর্মী। দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালের সেই কর্মীরা শুক্রবার কাজের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেন।
হাসপাতালের সামনে অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে চলছে বিক্ষোভ। কোনও সমাধান না হলে আগামী তিনদিন ধরে চলবে অবস্থান কর্মসূচি। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রভাকর সাহু বলেন, ‘‘সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর দশজনকে চতুর্থ শ্রেণির স্থায়ী পদে নিয়োগ করেছে। ফলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে অস্থায়ীদের আর কাজ দেওয়া সম্ভব নয়।"
২০১৩ সাল থেকে চতুর্থ শ্রেণির পদে কয়েকজন কাজ করছেন হাসপাতালে। রোগী কল্যাণ সমিতি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাজের ভিত্তিতে বেতন দিতেন তাঁদের। বর্তমানে মাসিক দু’হাজার টাকা পেতেন ওই অস্থায়ী কর্মীরা। এমনই এক কর্মী চণ্ডী জানা বলেন, ‘‘কাজ করে সামান্য বেতন পেতাম। কাজ চলে গেলে কীকরব এখন ! আমাদের কথা সরকার ভাবুক। বিভিন্ন দফতরে আমরা আবেদন জানাচ্ছি।’’ শুধু হাসপাতাল নয়, ব্লকের আরও কয়েকজনকে অস্থায়ী পদ থেকে সরানো হয়েছে। তাঁরাও আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। সংখ্যাটা প্রায় ৫০ জন। দাঁতনের বিদ্যাসাগর কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অস্থায়ী কর্মী সোমেশ দে বলেন, ‘‘অস্থায়ী পদে কাজ করি। স্থায়ী করা হোক। আমাদেরও তো যে কোনও সময় কাজ চলে যেতে পারে।’’ তৃণমূল পরিচালিত অস্থায়ী কর্মচারী সমিতির ব্লক নেতৃত্ব চন্দন পাণ্ডা বলেন, ‘‘অস্থায়ী কর্মচারীদের যাতে কাজ থাকে তার জন্যই আন্দোলন করছি। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।’’ গত ১১ ফেব্রুয়ারি রোগী কল্যাণ সমিতি মিটিং করে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীদের। বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েও লাভ হওয়ায় আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলেন,"জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে বিষয়টি জানাব। এতদিন ওরা কাজ করেছে। কিছু না জানিয়েই ওদের বাদ দেওয়া হল। বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হবে।"