সন্ত্রাসে দাঁড়ি টানতে সর্বদল

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের কেন্দ্র নারায়ণগড়ের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনের পরে অশান্তির অভিযোগ উঠছে। শান্তি বজায় রাখতে সর্বদল বৈঠক করল প্রশাসন। শুক্রবার নারায়ণগড়ের বেলদায় বিডিও-র উদ্যোগে ওই বৈঠক ডাকা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৫০
Share:

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের কেন্দ্র নারায়ণগড়ের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনের পরে অশান্তির অভিযোগ উঠছে। শান্তি বজায় রাখতে সর্বদল বৈঠক করল প্রশাসন। শুক্রবার নারায়ণগড়ের বেলদায় বিডিও-র উদ্যোগে ওই বৈঠক ডাকা হয়।

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে বাম, তৃণমূল ছাড়াও এসইউসি, বিজেপির মতো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন নারায়ণগড় ও বেলদা থানার ওসিরা। ভোটের পরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এমন সর্বদল বৈঠক এই প্রথম। যদিও বৈঠক প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিডিও মানিককুমার সিংহ মহাপাত্র। তবে পুলিশের কর্তা জানান, রাজ্যে নির্বাচনের পরে যে ভাবে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠছে তাতে দাঁড়ি টানতেই এই সর্বদল বৈঠক। দুই থানার পক্ষ থেকেই নারায়ণগড় বিডিও-র কাছে বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বৈঠকে সব পক্ষের অভিযোগ শুনে পুলিশের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।

গত সোমবার, ভোটের দিন বুথে বুথে ঘোরার সময় তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সূর্যবাবু। ভোটের পরেও উঠছে সন্ত্রাসের আভিযোগ। বামেদের দাবি, রাধানগর, খাকুড়দা, আম্বিডাগর, মান্নার মতো এলাকায় বাম কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, হেনস্থা করা হচ্ছে। এ দিন বৈঠকে শেষে সিপিএমের জোনাল সম্পাদক মদন বসু বলেন, “নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস চলছে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের লোকেরা। কোথাও পাইপ লাইনের জল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা বিডিওকে সর্বদল বৈঠকে জানিয়েছি।” অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ বলেন, “সিপিএম ৩৪ বছর ধরে এ ভাবেই হুমকি দিয়ে, জল বন্ধ করে অত্যাচার চালিয়েছে। এখও সে সবই বলে ফেলছে।” আর সর্বদল বৈঠক প্রসঙ্গে মিহিরবাবুর বক্তব্য, “নির্বাচনোত্তর সময়ে এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন বিডিও। আমাদের বিধানসভা এলাকায় কোথাও কোনও গোলমাল নেই। সে কথা বিডিওকে জানিয়েছি।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন