গাছ বিক্রির টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ

বনসৃজনে লাগানো গাছ বিক্রির জন্য ডাকা দরপত্রে কম দাম দেওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নারায়ণগড় ব্লকের মকরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। গত ৮ মে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ছ’টি প্লটের গাছ বিক্রির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। প্রক্রিয়া শেষ হবে আগামী ২৬ মে। অভিযোগ, সিপিএম পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের প্রধান বাজারদরের তুলনায় কম দরে টেন্ডার ডেকেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৫ ০১:১৭
Share:

বনসৃজনে লাগানো গাছ বিক্রির জন্য ডাকা দরপত্রে কম দাম দেওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নারায়ণগড় ব্লকের মকরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। গত ৮ মে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ছ’টি প্লটের গাছ বিক্রির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। প্রক্রিয়া শেষ হবে আগামী ২৬ মে। অভিযোগ, সিপিএম পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের প্রধান বাজারদরের তুলনায় কম দরে টেন্ডার ডেকেছেন। তদন্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি তুলে মহকুমাশাসক থেকে জেলা প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত এলাকার এক বাসিন্দা।

Advertisement

রামপুরা থেকে রণবনিয়া, মলকা থেকে রামপুরা, রেলগেট থেকে চকমকরামপুর, রণবনিয়া থেকে মুড়াকাটা, আশ্রম রোড থেকে রানিহাটি ও রানিহাটির একটি পুকুর পাড়ের জমিতে থাকা গাছ বিক্রির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে বনসৃজন কর্মসূচিতে ওই গাছগুলি লাগানো হয়েছিল। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ছ’টি প্লটে থাকা গাছগুলির বর্তমান বাজার মূল্য কম করে ৩৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু বন দফতরের মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ না করেই ১৫ লক্ষ টাকায় ওই গাছ বিক্রির টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এ নিয়ে যিনি অভিযোগ জানিয়েছেন সেই উত্তম মাইতি বলেন, “ছ’টি প্লটের মধ্যে তিনটিতে বন দফতরের কোনও অনুমতি নেই। নিজের স্বার্থে কম মূল্যে প্রধান এই টেন্ডারের অনুমোদন করেছেন।”

অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান ধীরেন্দ্র পণ্ডিত বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত সচিব বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, “গাছগুলির মূল্য নির্ধারণের জন্য বন দফতরে জানানো হয়েছিল। কিন্তু বন দফতর সেই মূল্য নির্ধারন করেনি। এ দিকে, গাছগুলি চুরি হয়ে যাচ্ছিল। তাই প্রধান নিজে অনুমোদন দিয়ে টেন্ডার ডেকেছেন।”

Advertisement

এই অনিয়মের অভিযোগ উঠতেই এলাকায় জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহের বক্তব্য, “পঞ্চায়েতের গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে কী নিয়ম আমার জানা নেই। তবে গাছ বিক্রির জন্য সব সরকারি দফতর আমাদের মূল্য নির্ধারণ করতে বলে। আমরা যথাসময়ে তা করেও দিই। ওই পঞ্চায়েতের মূল্য নির্ধারণের কাজ আটকে থাকলে তারা অভিযোগ জানাতে পারেন।” গোটা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন