পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। মঙ্গলবার ক্ষীরপাই শহরে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
পথ অবরোধ করেছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। সেই কর্মসূচি থেকে তৃণমূল বিধায়ক ছায়া দোলইকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাই শহরের হালদারদিঘিতে। হেনস্থায় অভিযুক্ত দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কাঁথিতে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে এ দিন পথ অবরোধ কর্মসূচি ছিল বিজেপি-র। সেখানেই তৃণমূল বিধায়কের গাড়ি আটকে তাঁকে হেনস্থা করা হয়, গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে ক্ষীরপাই শহরে ধিক্কার মিছিল করে তৃণমূল। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কাঁথিতে হামলার ঘটনা ঘটে। তার জেরে পথ অবরোধ হাস্যকর। আর ক্ষীরপাই শহরে সেই কর্মসূচিতেই আমাদের মহিলা বিধায়ককে হেনস্থা করেছে বিজেপি।’’ অজিতের পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘‘তৃণমূল মনে করলে বিজেপির কাউকে ঘর থেকে বেরোতে দেবে না। কিন্তু আমরা সেটা চাইছি না। বিষয়টা ওদের বোঝা উচিত।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিজেপি-র অবরোধের জেরে এ দিন ঘাটাল-চন্দ্রকোনা ও ক্ষীরপাই-আরামবাগ সড়কে ব্যাপক যানজট হয়। সেই সময় ওই পথে চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দোলই দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে জাড়া যাচ্ছিলেন। ক্ষীরপাই শহরে যানজটে তাঁর গাড়ি আটকে যায়। বিধায়কের গাড়ি থেকে নেমে তৃণমূল নেতা সৌগত দণ্ডপাট রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার আর্জি জানান। ছায়ার অভিযোগ, ‘‘এরপর আচমকাই বিজেপি কর্মীরা গাড়ির কাছে এসে গালিগালাজ করতে থাকেন। আমি গাড়ি থেকে নেমে পড়ি। কিন্তু গালিগালাজ বন্ধ হয়নি।’’
নিমেষে বিধায়কের গাড়ি আটকানোর খবর ছড়িয়ে পড়ে। চন্দ্রকোনা ও ক্ষীরপাই শহর থেকে এসে শতাধিক তৃণমূল কর্মী জড়ো হয়ে যান। তখন তৃণমূল-বিজেপি সমঘর্ষও হয়। জখম হন বিজেপি-র কয়েকজন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিধায়ককে হেনস্থার অভিযোগে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত মণ্ডল-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপি নেতা রামকুমার দে-র দাবি, ‘‘বিধায়ক নিজে গাড়ি থেকে নেমে পথ অবরোধ তোলার চেষ্টা করেন। তাতেই আমাদের দলীয় কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন।’’