র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ

আবাসিক ছাত্রীদের বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ এনে বেসরকারি মেস ছাড়লেন ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিকের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। সেই সঙ্গে পলিটেকনিক ছাড়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল বিভাগ) প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম থানায় ওই মেসের সাত জন আবাসিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিিন। ওই ছাত্রীর দাবি, অভিযুক্তরা ওই পলিটেকনিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৫ ০১:২৩
Share:

আবাসিক ছাত্রীদের বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ এনে বেসরকারি মেস ছাড়লেন ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিকের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। সেই সঙ্গে পলিটেকনিক ছাড়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল বিভাগ) প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম থানায় ওই মেসের সাত জন আবাসিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিিন। ওই ছাত্রীর দাবি, অভিযুক্তরা ওই পলিটেকনিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। প্রীতিকার বাড়ি ঘাটালের দাসপুর থানার মহিষঘাটা গ্রামে। এ বছরই তিনি ঝাড়গ্রামের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিক-এ ভর্তি হন। গত ২ অগস্ট ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা এলাকার মল্লিক পাড়ায় একটি বেসরকারি মেসে ওই ছাত্রীর থাকার বন্দোবস্ত করেন অভিভাবকরা। ছাত্রীর অভিযোগ, মেসে ঢোকার পর থেকেই ওই সাতজন আবাসিক ছাত্রী তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকেন। এ দিন বাবা-মা ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঝাড়গ্রামে আসেন তিনি।ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে মেস থেকে সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে ফিরে যান তাঁরা।

Advertisement

কিন্তু ওই ছাত্রী মেস পরিবর্তন করে অন্য মেসে থাকতে পারতেন, সেটা করলেন না কেন? ওই ছাত্রীর বক্তব্য, “দিদিরা হুমকি দিয়েছে, এই তো সবে শুরু এবার পলিটেকনিকেও র‌্যাগিং করা হবে।’’ হাতে আক্রান্ত হলেও পলিটেকনিক কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন নি তিনি।

অন্য দিকে মেস মালিক মনোজ মল্লিক বলেন, “দিন সাতেক মেয়েটি মেসে ছিল। ওই সময় আমাকে কিছুই জানায় নি।’’ এই ঘটনার পরে মেসের অভিযুক্ত আবাসিক ছাত্রীরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, “আচমকা থানায় গিয়ে ও কেন আমাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করল আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের র‌্যাগিং প্রতিরোধ আইনের ৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয় নি। র‌্যাগিংকমিটিকে বিষয়টিকে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। মেয়েটির বাবার দাবি, ‘‘কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে কোনও সুবিচার পাব না। তাই একেবারে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন