এক আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল বেলপাহাড়িতে। শনিবার দুপুরে ওড়গোন্দা এলাকায় বছর বাইশের ওই তরুণীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তরুণীর মামীর অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার ধর্ষণের ধারায় মামলা রুজু করেছে বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ। অভিযোগপত্রে অবশ্য নির্দিষ্ট কারও নামে নেই। ওই আত্মীয়ার বক্তব্য, “কারা এমন করেছে সেটা আমাদের জানা নেই। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক কারা অভিযুক্ত।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিনপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীর সামান্য মানসিক সমস্যা রয়েছে। মাস খানেক আগে তিনি ওড়গোন্দায় মামার বাড়িতে এসেছিলেন। শনিবার দুপুরে তিনি কখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, খেয়াল করেননি পরিজনরা। পরে স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় মেয়েটিকে ভৈরবথানের পাশে পড়ে থাকতে দেখে পরিজনদের খবর দেন।
রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। মেয়েটির শরীরের গুরুতর আঘাত দেখে চিকিৎসকদের অনুমান, দীর্ঘক্ষণ ধরে মেয়েটির উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। ঘটনার কারণ নিয়ে অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি মানসিক অবসাদগ্রস্ত। এ দিন হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেন তদন্তকারী অফিসার। পুলিশ সূত্রের দাবি, কীভাবে তার এই অবস্থা হল, সে সম্পর্কে মেয়েটি পরিষ্কার করে কিছু জানাতে পারেনি। অসংলগ্ন ভাবে মেয়েটি শুধু জানিয়েছে, দু’জন যুবক তাঁকে সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
ঝাড়গ্রামের এসপি সুখেন্দু হীরা বলেন, “ওই তরুণীর অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মেয়েটি সুস্থ হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তাঁর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করানো হবে। ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের নাম পাওয়া গেলেই তাঁদের গ্রেফতার করা হবে।”