Illegal Shop

চোলাইয়ের ঠেক ভাঙলেন মহিলারা

এগরার বাথুয়াড়ি এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে বেআইনি মদের কারবার চলছিল। পটাশপুর, এগরা ও মারিশদা থানা এলাকার সীমানা হওয়ায় নজরদারি শিথিল থাকায় বেআইনি মদের কারবার বেড়েই চলছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

এগরা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ০৯:০৩
Share:

মদের দোকানে ভাঙচুর। নিজস্ব চিত্র

প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাই গ্রামের মহিলারাই বেআইনি মদের দোকান ভেঙে দিলেন। নষ্ট করা হল বেশ কয়েক লিটার দেশি ও বিদেশি মদ। পাশাপাশি তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল বাজারের আশপাশের গাঁজা ও চোলাইয়ে ঠেকে।

Advertisement

এগরার বাথুয়াড়ি এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে বেআইনি মদের কারবার চলছিল। পটাশপুর, এগরা ও মারিশদা থানা এলাকার সীমানা হওয়ায় নজরদারি শিথিল থাকায় বেআইনি মদের কারবার বেড়েই চলছিল বলে অভিযোগ। সন্ধ্যা নামলেই মদ্যপদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। পাহাড়পুর ও কাঁথগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাজার এলাকায় একই ভাবে কয়েক বছর ধরে বেআইনি মদের কারবার রমরমিয়ে চলছে। এক ব্যক্তির বাড়িতে বেআইনি মদ রেখে বিক্রি করা হতো। সেখান থেকে এজেন্ট মারফত এলাকায় বাকি দোকান গুলিতে মদ ও চোলাই সরবরাহ হতো। শাসক ঘনিষ্ঠ ওই বেআইনি মদ কারবারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার খুব একটা সাহস দেখাতোনা এলাকার মানুষ। এই মদের দোকান থেকে পাশাপাশি চা-পান ও মনিহারি দোকানের আড়ালেও সকাল সন্ধ্যা বেআইনি মদের আসর বসতো। স্বাধীনতা দিবসে মঙ্গলবার বিকেলে একই ভাবে মদ্যপদের দৌরাত্ম্য শুরু হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। শেষ পর্যন্ত এলাকার মহিলারা একত্রিত হয়ে বেআইনি মদের দোকানে ভাঙচুর চালায়। বাড়িতে মজুত বেআইনি দেশি ও বিদেশি বেশ কয়েক লিটার মদ নষ্ট করা হয়। মহিলাদের দোকান ভাঙচুরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় মদের কারবারি। ভাঙচুরের পাশাপাশি আশপাশের মদের ঠেকেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। মহিলাদের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা তপন বর বলেন, ‘‘শাসক দলের প্রচ্ছন্ন মদতে কয়েক বছর ধরে এখানে বেআইনি মদের কারবার চলছিল। পুলিশকে জানিয়েও কাজ হয়নি। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মহিলারাই এ দিন বেআইনি মদের দোকান ভেঙে দিয়েছে।’’

এগরা থানার পুলিশের দাবি, এলাকায় বেআইনি মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। তবে পুলিশ গেলে অভিযুক্তরা গা-ঢাকা দেয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন