—প্রতীকী ছবি।
চাষের কাজে সাহায্যের জন্য কৃষকদের বছরে দুবার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য সম্প্রতি ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের তরফে এই প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে সরকারি আর্থিক সাহায্য পেতে আবেদন পত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে আজ সোমবার থেকে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫ টি ব্লকের প্রতি ব্লক থেকে দু’টি মৌজা বাছাই করে ৫০টি মৌজার কৃষকদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়ার জন্য একদিনের শিবির করা হচ্ছে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামপঞ্চায়েত অফিস, কিষাণ মান্ডি, সমবায় সমিতি অফিস কিংবা স্কুলে শিবির আয়োজন করছে কৃষি দফতর। পরবর্তী পর্যায়ে ধাপে ধাপে শিবির করে বাকি এলাকার কৃষকদের আবেদন জমা নেওয়া হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে দিতে হবে কৃষকের সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র, জমির পড়চা (রেকর্ড) ও ব্যাঙ্ক বা সমবায় সমিতিতে পাশ বইয়ের প্রতিলিপি।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, চাষের কাজে আর্থিক সাহায্য দিতে কৃষকদের বছরে রবি ও খারিফ মরসুম মিলিয়ে দু’দফায় সর্বাধিক ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সাহায্য দেওয়া হবে। এক ডেসিমেল থেকে ৪০ ডেসিমেল পর্যন্ত জমির জন্য কৃষককে বছরে মোট ২ হাজার টাকা দেওয়া করে হবে। এর মধ্যে রবি মরসুমে ১ হাজার টাকা ও খারিফ মরসুমে ১ হাজার টাকা দেওয়া হবে। একইভাবে ৪০ ডেসিমেল থেকে ৯৯ ডেসিমেল জমির জন্য ডেসিমেল পিছু ৫০ টাকা করে দেওয়া হবে বছরে। রবি ও খারিফ মরসুমে ওই টাকা ভাগ করে দেওয়া হবে। আর ১ একর বা তাঁর বেশি জমির মালিককে রবি ও খারিফ মরসুমে আড়াই হাজার টাকা করে বছরে মোট ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
জেলা কৃষি দফতরের সহ-অধিকর্তা মৃণালকান্তি বেরা বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায়ে জেলার প্রতি ব্লকে দু’টি মৌজা বাছাই করে কৃষকদের আবেদন জমা নেওয়া হবে শিবির করে। জেলার প্রতি ব্লকে নির্ধারিত জায়গাগুলিতে সোমবার এই শিবির করা হচ্ছে। সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হবে। আবেদন জমা দেওয়ার জন্য কৃষককে নিজে হাজির থাকতে হবে।’’ তিনি জানান, প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রচার করা হচ্ছে। তা ছাড়া শিবিরে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় রবিবার মাইক প্রচারও করা হয়েছে।
কিন্তু মাত্র একদিনের শিবিরে কৃষকরা সব নথিপত্র জোগাড় করে আবেদন জমা দিতে না পারলে কী হবে? সে বিষয়ে মৃণালকান্তিবাবু বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায়ে বাছাই মৌজার কৃষকদের কেউ সোমবার আবেদন জমা দিতে না পারলে পরবর্তী সময়ে ব্লক স্তরে আয়োজিত শিবিরে আবেদন জমা দিতে পারবেন।’’