শিল্পী: পটচিত্র নিয়ে রানি চিত্রকর (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।
প্রতি বছরের মতো চলতি বছরেও মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর প্রয়াণ দিবস পালিত হল রাজা নরেন্দ্র লাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে (গোপ কলেজে)। তবে মঙ্গলবার ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে অন্য মাত্রা যোগ করলেন পটশিল্পীরা। মোহনদাসের জীবনী পটের গানের মাধ্যমে বর্ণনা করে শোনালেন তাঁরা।
পিংলারর পটশিল্পী রানি চিত্রকর তাঁর আঁকা পটের ছবি দেখিয়ে এ দিন গান শোনালেন। মোহনদাসের জন্ম থেকে বড় হয়ে ওঠা, ওকালতি করা থেকে সত্যাগ্রহ আন্দোলন এবং সব শেষে আততায়ীর হাতে মৃত্যু— এ সবই চিত্রকর তুলে ধরেন তাঁর পট-গানের মাধ্যমে। ইতিহাস বিভাগের প্রধান রিনা পাল বলেন, ‘‘মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর জীবনী লিখে পটশিল্পীদের কাছে পাঠিয়েছিলাম। তাঁরা পটের ছবি দেখিয়ে গানের মাধ্যমে ছাত্রীদের কাছে তুলে ধরলেন। এতে পড়ুয়ারা পট শিল্প এবং পটের গান সম্পর্কে ধারণাও পেল।’’
মোহনদাসের প্রয়াণ দিবস পালিত হয় মেদিনীপুরেও। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে মেদিনীপুর শহরের গাঁধীমূর্তির পাদদেশে সর্বধর্ম প্রার্থনা সভার আয়োজন হয়।
দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। ছিলেন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। মেদিনীপুরের অন্যত্রও দিনটি পালিত হয়। বিভিন্ন কর্মসূচি হয়।
মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে মঙ্গলবার খড়্গপুর শহরের ইন্দায় দফতরের অফিসের সামনে অনুষ্ঠান আয়োজন করে। মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর প্রতিকৃতে মালা দিয়ে করে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এক সর্বধর্ম সভাও অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের স্বামী পঙ্কজানন্দ, ডেপুটি কালেক্টর তরুণকুমার মল্লিক, মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক জয়ন্তকুমার মল্লিক প্রমুখ।
অন্য দিকে, এ দিন বেলদায় গাঁধীমূর্তির পাদদেশে ডিওয়াইএফ-এর উদ্যোগে এক মশাল মিছিল হয়। মিছিলটি বেলদা শহর পরিক্রমা করে।