বেহাল: খড়্গপুর স্টেশনের মালগুদাম এলাকায় ফুটপাথের উপরেই রয়েছে সাইকেল স্ট্যান্ড। বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
অবৈধ টোটো-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া-সহ একাধিক দাবিতে মেদিনীপুরের আরটিও অফিস ঘেরাও করল অটো মালিকেরা। সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ কয়েকশো চালক নিজেদের অটো নিয়ে আরটিও অফিসের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখেন। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র পতাকা নিয়ে মিছিল করে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান অটো চালকেরা। জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা।
অটো মালিকদের অভিযোগ, শহরে অনেক কাউন্সিলর ও সরকারি আধিকারিকেরা একসঙ্গে চার-পাঁচটি টোটো কিনে চালক দিয়ে চালাচ্ছেন। ৩১০টি টোটোকে রেজিস্ট্রেশন দিয়ে মেদিনীপুর শহরের চারটি ওয়ার্ডে চালানোর অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে শহরে কয়েক হাজার টোটো পথে নামলেও হুঁশ নেই প্রশাসনের। আগেও গত ১০ মে একই দাবিতে অটো নিয়ে আরটিও অফিস ঘেরাও করেছিলেন চালকেরা। অবৈধ টোটো-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মেদিনীপুর শহর অটো রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। ফের একই দাবিতে আরটিও অফিস ঘেরাও করলেন অটো চালকেরা।
সংগঠনের সম্পাদক শেখ সিরাজ বলেন, ‘‘প্রশাসন দু’সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই ফের ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হল।’’ শেখ সিরাজের দাবি, ‘‘৬০০ অটোর মধ্যে অনেক অটোর চালক তেলের খরচ পর্যন্ত জোগাড় করতে পারছেন না। তাই রাস্তায় নামা বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেক অটোর। স্ত্রীর সোনার গয়না বিক্রি করে, মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে তাঁরা ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করছেন।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমরা রাস্তায় অটো নামাব না। প্রশাসনও রাস্তায় টোটো চলাচল বন্ধ করুক। এ বিষয়ে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে ফের রাস্তায় অটো-টোটো চালানো হোক।’’ এ বিষয়ে জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’