ভোট নেত্রীকেই, বার্তা অভিষেকের

গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা ছিল— রাজ্যের প্রতিটি আসনে তিনিই প্রার্থী। এ বার পঞ্চায়তে ভোটের প্রচারে সে কথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দাঁতন শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৮ ০১:৪২
Share:

গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা ছিল— রাজ্যের প্রতিটি আসনে তিনিই প্রার্থী। এ বার পঞ্চায়তে ভোটের প্রচারে সে কথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

মঙ্গলবার দাঁতন-২ ব্লকের খণ্ডরুই রাজবাড়ি ময়দান নির্বাচনী জনসভায় হাজির ছিলেন অভিষেক। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘মনে রাখবেন আপনারা রমাপ্রসাদ গিরি, অজিত মাইতি, উত্তরা সিংহ নয়, ভোটটা সরাসরি দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যে ভালবাসায় আপনারা আমাদের বরণ করেছেন, আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, এর ঋণ আমরা উন্নয়নের মাধ্যমে পশ্চিম মেদিনীপুরে শোধ করে দেব।” দাঁতনে জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হয়েছেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি। শাসক দলের অন্দরের খবর, মূলত রমাপ্রসাদের অনুরোধেই এলাকার প্রার্থীদের প্রচারেই এসেছিলেন অভিষেক।

এ দিন অভিষেক দাবি করেন, এ বার ভোটে নির্দলদের থেকেও পিছিয়ে পড়বে বিজেপি। অভিষেকের কথায়, ‘‘এমন রব তোলা হচ্ছে, যেন বিজেপি কালকেই ক্ষমতায় চলে আসবে। কিন্তু বিজেপির এখন শনি, রাহু ও কেতুর দশা চলছে। আগামিদিনে বিজেপি ৩ নম্বরে নয়, নির্দলদের থেকেও পিছনে চলে যাবে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও সরাসরি আক্রমণ করেছেন যুব তৃণমূল সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির রাজ্য সভাপতির কখনও বলছেন পুঁতে দেব, হাত-পা ভেঙে হাসপাতালে পাঠাব, বাড়িতে ঢুকিয়ে দেব। দিলীপবাবু কোন শ্মশানে পাঠাবেন? কোন হাসপাতালে পাঠাবেন? কোন বাড়িতে ঢোকাবেন? সর্বত্র তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়ন করেছেন।” সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, শিক্ষাশ্রী দিচ্ছি। আর দিলীপবাবুর দল অস্ত্রশ্রী দিচ্ছে।” অভিষেকের প্রশ্ন, ‘‘সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মঞ্চে ছবি থাকার জন্য মদন মিত্র যদি সাড়ে তিন বছর জেলে থাকতে পারেন তবে কেন বিজয় মালিয়া, নীরব মোদীর সঙ্গে মঞ্চে থাকার জন্য বিজেপি নেতাদের জেল হবে না!”

Advertisement

বিজেপির সমালোচনায় অভিষেক টেনে এনেছেন ভাগাড়-কাণ্ডের প্রসঙ্গও। সরাসরি কারও নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘ভাগাড় দেখলেই আমার বিজেপির কথা মনে হচ্ছে। যত পচা আবর্জনা আমরা ছুড়ে ভাগাড়ে ফেলে দিচ্ছি সেগুলি দিলীপবাবুদের দল কেমিক্যাল দিয়ে ঠাণ্ডাঘরে রেখে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে মানুষের সামনে তুলে ধরছেন।”

যদিও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সম্পর্কে কার্যত কিছু বলতে শোনা যায়নি তাঁকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন