দু’দশকে প্রথম, পঞ্চায়েতে নেই অন্তরা

এক সময় কঠিন উইকেটেও রান তুলেছেন। কেশপুর-গড়বেতা-পিংলা যখন জ্বলছে, তখনও মাঠ ছাড়েননি, আউটও হননি (পড়ুন জামানত জব্দ হয়নি)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৮ ০০:৪৫
Share:

অন্তরা ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েতের মাঠে খেলা। অথচ তিনিই ক্রিজে নেই। প্রায় দু’দশকের মধ্যে এমনটা এই প্রথম।

Advertisement

অথচ, এক সময় কঠিন উইকেটেও রান তুলেছেন। কেশপুর-গড়বেতা-পিংলা যখন জ্বলছে, তখনও মাঠ ছাড়েননি, আউটও হননি (পড়ুন জামানত জব্দ হয়নি)।

পিংলার সেই অন্তরা ভট্টাচার্য এ বার সরাসরি পঞ্চায়েত ভোটে নেই। গত ভোটেও প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তবে জেতেননি।

Advertisement

এ বার প্রার্থী না হলেও বিজেপির বহু কর্মীর কাছে তিনিই ‘মুশকিল আসান’।

মনোনয়নপর্বে অন্তরাদেবী আক্রান্তও হন। বেশ কিছু দিন কলকাতার হাসপাতালে ছিলেন। অন্তরাদেবী বলছিলেন, “প্রার্থী হইনি। তবে দলের কাজ করেছি, প্রচারে গিয়েছি।”

অন্তরাদেবীর প্রথম পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানো ১৯৯৮ সালে। তখন তিনি সিপিএম করতেন। জিতে পিংলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। ২০০৩ সালে ফের পঞ্চায়েত ভোটে জিতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। ২০০৮ সালে জেলা পরিষদে প্রার্থী হন। জিতে একেবারে জেলা পরিষদের সভাধিপতি। ২০১৩ সালের ভোটে অবশ্য হেরে যান। গত লোকসভা ভোটের পরে সদলবলে সিপিএম ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। মাস কয়েক আগে সবংয়ের উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীও হন। একধাক্কায় অনেকটা ভোট বাড়ে বিজেপির।

এ বার পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী না হওয়ায় কিছুটা মনভার অন্তরাদেবীর। পরিচিতদের কাছে তিনি মানছেন, “চার-চারটে ভোট কম নয়।

পিংলা আমার হাতের তালুর মতো চেনা। সভাধিপতি থাকার ফলে জেলাও চিনেছি। এ বার ভোটের মাঠে থাকতে না পেরে একটু খারাপই লাগছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement