অভাবকে জয় করে এগোতে চায় বিদ্যুৎ

দারিদ্রকে জয় করে ঝাড়গ্রামের গজাশিমুল হাইস্কুলের ছাত্র বিদ্যুত্‌ মাহাতো মাধ্যমিকে পেয়েছে ৬১৭ নম্বর। ৮৮ শতাংশ নম্বর পেলেও উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যত্‌ নিয়ে সংশয়ে রয়েছে এই কিশোর। বিদ্যুত্‌ বলে, “স্কুলের শিক্ষকদের আন্তরিক সাহায্য পেয়েছি বলেই ভাল ফল করতে পেরেছি। পরিবারের আর্থিক অবস্থার জন্য ইচ্ছে থাকলেও বিজ্ঞান বিভাগে পড়া সম্ভব নয়। তাই কলা বিভাগে ভর্তি হব। অভাবের সংসারে ভবিষ্যতে কোনও কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখি না। ভাল মানুষ হতে চাই।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৫ ০০:৫৯
Share:

বিদ্যুৎ মাহাতো। —নিজস্ব চিত্র।

দারিদ্রকে জয় করে ঝাড়গ্রামের গজাশিমুল হাইস্কুলের ছাত্র বিদ্যুত্‌ মাহাতো মাধ্যমিকে পেয়েছে ৬১৭ নম্বর। ৮৮ শতাংশ নম্বর পেলেও উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যত্‌ নিয়ে সংশয়ে রয়েছে এই কিশোর। বিদ্যুত্‌ বলে, “স্কুলের শিক্ষকদের আন্তরিক সাহায্য পেয়েছি বলেই ভাল ফল করতে পেরেছি। পরিবারের আর্থিক অবস্থার জন্য ইচ্ছে থাকলেও বিজ্ঞান বিভাগে পড়া সম্ভব নয়। তাই কলা বিভাগে ভর্তি হব। অভাবের সংসারে ভবিষ্যতে কোনও কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখি না। ভাল মানুষ হতে চাই।”

Advertisement

বিদ্যুতের বাড়ি ঝাড়গ্রামের বলদডুবা গ্রামে। বিদ্যুতের বাবা গৌরাঙ্গ মাহাতো গজাশিমুল এলাকার একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার শ্রমিক। মা মহুয়াদেবী গৃহবধূ। ছোট ভাই খগেশ দাদার স্কুলেই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে গজাশিমুল স্কুলে পড়ছে বিদ্যুত্‌। বরাবর ভাল ফল করেছে। স্কুল থেকেই সমস্ত বইপত্র পেয়েছে। বাবা শ্রমিকের কাজ করেন বলে মরশুমে সংসারের প্রয়োজনে ভাগের সামান্য জমিতে নিজে চাষ করে বিদ্যুত্‌। লাঙল চালিয়েও নিয়ম করে পড়াশুনাও করে গিয়েছে সে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিনু বেরা বলেন, “বিদ্যুত্‌ অসম্ভব মেধাবী। ও উচ্চশিক্ষায় ভীষণভাবে আগ্রহী। দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করে এত ভাল ফল করার পুরো কৃতিত্বটাই আমি বিদ্যুত্‌কেই দিতে চাই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন