পাখি চেনার পাঠ পড়ুয়াদের

‘কাদের কাদের সকালে পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে?’ ‘‘এটা কোন পাখি, যে মাছ খায়?’’ জামবনির চিল্কিগড় ঈশ্বরচন্দ্র ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ছাত্রীদের এই ভাবেই স্লাইড শো ও তথ্যচিত্রের দেখিয়ে হাতেকলমে পাখি চেনালেন হাজারিবাগের বাসিন্দা শিবশঙ্কর গোস্বামী।

Advertisement

দেবরাজ ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০৬
Share:

স্লাইডের মাধ্যমে চলছে পাখি চেনা। নিজস্ব চিত্র।

‘কাদের কাদের সকালে পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে?’

Advertisement

‘‘এটা কোন পাখি, যে মাছ খায়?’’

জামবনির চিল্কিগড় ঈশ্বরচন্দ্র ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ছাত্রীদের এই ভাবেই স্লাইড শো ও তথ্যচিত্রের দেখিয়ে হাতেকলমে পাখি চেনালেন হাজারিবাগের বাসিন্দা শিবশঙ্কর গোস্বামী।

Advertisement

আদি ঝাড়গ্রামের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা শিবশঙ্করবাবু বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের বাসিন্দা। বছর দু’এক আগে নেহাতই ভাললাগা থেকে পাখির ছবি তোলা শুরু। তাঁর বেশিরভাগ ছবি ঝাড়খণ্ডের ছাড়য়া লেকে তোলা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০র বেশি স্থায়ী ও পরিযায়ী পাখির ছবি তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘পাখি যেমন পরাগ মিলনে সাহায্য করে, ঠিক সেই রকম পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করে। কিন্তু আমাদের জন্য ওরা আজ বিপন্ন। কিছু কিছু পাখি সারা ভারতে আর মাত্র কয়েকশো বেঁচে রয়েছে। এভাবে চললে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পাখির নামই শুনবে। দেখতে আর পাবে না।’’

পড়ুয়া অজয় শবর, মৌসুমি খামরুই, হরিপদ মাহাতোদের কথায়, ‘‘পাখি যে সমাজের ভারসাম্যও রক্ষা করে এটা আজ হাতে কলমে জানলাম। গরমে পুকুরে জল শুকিয়ে যায়, খাবার পায় না। আমরা বাড়ির ছাদে যদি বাটিতে একটু জল রাখি তা হলে ওরা গরম কালে একটু জল তো পাবে। আজ বহু ধরনের পাখি চিনলাম। জলেও যে পাখি বাসা করে সেটা তো জানতাম না।’’

স্কুলের জীববিদ্যর শিক্ষক মনোজ মান্ডি বলেন, ‘‘বাড়ি ফেরার পথে দেখি গ্রামের ছেলেরা গুলতি দিয়ে পাখি মারছে। ওদের পাখির বিষয়ে কোনও ধারণা নেই। ওদের বোঝানোর জন্য আজকের এই অনুষ্ঠান।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement