চাচার আশিস নিয়ে এগোতে চান দিলীপ

তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, চাচাকে হারাতে নয়, নিজে জিততে খড়্গপুরে এসেছেন। রেলশহরের মানুষের মন জয়ের পর চাচার সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৬ ০২:০৯
Share:

তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, চাচাকে হারাতে নয়, নিজে জিততে খড়্গপুরে এসেছেন। রেলশহরের মানুষের মন জয়ের পর চাচার সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের গোলবাজারে কংগ্রেসের কার্যালয়ে গিয়ে প্রাক্তনী জ্ঞানসিংহ সোহন পালের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপবাবু। চাচাকে দিলীপবাবু বলেন, “আপনার কাছে আমার অনেক কিছু শেখার রয়েছে। এই বয়সে দীর্ঘদিন আপনি খড়্গপুরের সেবা করেছেন। আপনি আমাকে আশীর্বাদ করুন।” চাচার পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন নবনির্বাচিত বিজেপি প্রার্থী। সৌজন্য ফিরিয়ে দিয়ে চাচা বলেন, ‘‘আশীর্বাদ করলাম।’’

এ দিন সকালে জেলা বিজেপির বৈঠকে যোগ দিতে মেদিনীপুরে আসেন দিলীপবাবু। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পেটোয়া কিছু অফিসারকে নিয়োগ করেছেন যাতে এখানে সংঘর্ষ বাধে। আমরাও সংঘর্ষের রাস্তা খুলে দিয়েছি। সংঘর্ষের মাধ্যমে আমরা এখানে জিতে আসতে চাই। আর এখানকার মানুষকেও বুঝিয়ে দিতে চাই, বিজেপি পিছিয়ে যাবে না। শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।”

Advertisement

জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে দলের রাজ্য সভাপতিকে এ দিন সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কটে অনড় দিলীপবাবু। তিনি বলেন, “শপথগ্রহণে যাওয়ার জন্য আমার কাছে তিনটি কার্ড এসেছে। আমি বলেছি, এখন ঠান্ডায় বসে আনন্দ করার দিন নয়। তাই শপথগ্রহণ বয়কট করছি।”

শপথগ্রহণে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে আসবেন? দিলীপবাবুর জবাব, “কে আসবেন আমি জানি না। কেন্দ্রের রাজনীতি কেন্দ্রের মতো। সেটা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সৌজন্যের ব্যাপার। কিন্তু এই ধরনের অত্যাচারী, গণতন্ত্র ধ্বংসকারীদের প্রতি আমার কোনও সৌজন্যবোধ নেই!’’

খড়্গপুরের জয়ী বিজেপি প্রার্থীর কথায়, ‘‘আমি নেতৃত্বকে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি যে পশ্চিমঙ্গে আমরা লড়ছি। যদি পশ্চিমবঙ্গ আমরা জিতি আমরা অমিত শাহর হাতে দেব। অমিত শাহ জিতে আমাদের হাতে দেবেন, আমরা এমন রাজনীতি করব না। সেই জন্য আমরা আমাদের লড়াইটা করে নেব।”

পরে খড়্গপুরে দলের কর্মী বৈঠকেও যোগ দেন দিলীপবাবু। সেখানে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘দিদি দু’দিন আপনার পুলিশদের ছুটি দিয়ে দিন। আপনার ভাইদের কী ভাবে শায়েস্তা করতে হয় আমার জানা আছে। আমরা মেরে হাড়গোড় ভেঙে বস্তায় ভরে দেব।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, “যারা ভাবছে পুলিশ সুপার বদলে বিজেপিকে রুখে দেবে তারা ভুল ভাবছে। খড়্গপুর এক বছর আগের অবস্থায় আর নেই, যেখানে আমাদের কাউন্সিলরদের হুমকি দিয়ে নিয়ে চলে যাবে। এখন আমরা তো ঘরে ঢুকে মারব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement