বিপর্যয়ের কারণ জানতে বৈঠক বামেদের

উপ-নির্বাচনে অনেক বুথে বিজেপির টেক্কা

শুধু বামেদের পিছনে ফেলে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসা নয়। দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভার উপ-নির্বাচনে কিছু বুথে ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে বিজেপি। চমকটা সেখানেই।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

তমলুক শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৩৪
Share:

শুধু বামেদের পিছনে ফেলে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসা নয়। দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভার উপ-নির্বাচনে কিছু বুথে ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে বিজেপি। চমকটা সেখানেই।

Advertisement

বিধানভার ২৫৮ টি বুথের মধ্যে অন্তত ২৫টির বেশি বুথে বিজেপি তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এইসব বুথের অধিকাংশ আবার গ্রামীণ এলাকা। যা আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। এ দিকে তৃণমূলের ঘাঁটিতে দ্বিতীয় স্থান হারিয়েছে বামেরা। উপ-নির্বাচনে ভোট বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে আগামী ২২ এপ্রিল জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক সিপিএমের।

প্রশাসনিক ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী বাম প্রার্থী উত্তম প্রধানকে ৩৩ হাজার ৮৯০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়ছিলেন। তৃণমূল পেয়েছিল ৫৩.৭২ শতাংশ ভোট। বামফ্রন্ট পেয়েছিল ৩৪.২২ শতাংশ ভোট। আর ওই নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কমলেশ মিশ্র পেয়েছিলেন ১৫ হাজার ২২৩ টি ভোট (৮.৭৬ শতাংশ)। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যে এ বার উপ-নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৫৫.৮৯ শতাংশ ভোট। বামফ্রন্টকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী সৌরীন্দ্রমোহন জানা পেয়েছে ৩০.৯৭ শতাংশ ভোট। আর বামফ্রন্ট প্রার্থী উত্তম প্রধান পেয়েছেন মাত্র ১০.২১ শতাংশ ভোট।

Advertisement

দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা এলাকার মধ্যে কাঁথি পুরসভার ২১ টি ওয়ার্ড, কাঁথি-১ ব্লকের ৮ টি পঞ্চায়েত ও কাঁথি-৩ ব্লকের ২ টি পঞ্চায়েত এলাকা রয়েছে। বিধানসভায় মোট ২৫৮ টি বুথের মধ্যে এবার উপ-নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী মোট ৩০ টি বুথে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূলের চেয়ে। বাকি অধিকাংশ বুথেও তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে বিজেপি প্রার্থীর ভোট। কাঁথি পুরসভা এলাকার তুলনায় পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে বিজেপি প্রার্থীর ভোট প্রাপ্তির হার বেশি।

মাত্র একবছরের মধ্যে বিধানসভা উপ-নির্বাচনে ভোট বিপর্যয় নিয়ে উদ্বিগ্ন সিপিএম জেলা নেতৃত্বও। ভোট বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে আগামী ২২ এপ্রিল দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক ডেকেছে। বৈঠকে দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব উপস্থিত থাকবেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘ভোটের ফলাফল পর্যালোচনার জন্য দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। উপ-নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের জেলা এবং স্থানীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন