জ্বর নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল। সোমবার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর দেখা গেল, একজনের রক্তেও ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড বা ডেঙ্গির জীবাণু মেলেনি! তাহলে কী কারণে এই জ্বর? তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বৈঠকে বসেন। সিদ্ধান্ত হয়, এ বার নতুন করে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে কলকাতায়, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়েই জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। যদিও জ্বরের ধরন নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। দিন কয়েক আগেই গড়বেতা-৩ ব্লকের নবকোলা ও আঁধারিয়া গ্রামে জ্বরে এক কিশোর ও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। তা জানার নবকোলা গ্রাম থেকে ১২ জন রোগীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। চিকিৎসকদের আশঙ্কা ছিল, সকলে ডেঙ্গিতেই আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ, এলাকায় গিয়ে মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। জেলা উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “আশঙ্কা ছিল, ওই জ্বর হয়তো ডেঙ্গি। কিন্তু রক্ত পরীক্ষায় তার প্রমাণ মেলেনি। তাই এ বার কয়েকজনের রক্তের নমুনা নিয়ে কলকাতায় স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
জ্বরের ধরন জানা না গেলে চিকিৎসা হবে কী ভাবে? স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওই জ্বরের চিকিৎসার একটি পদ্ধতি রয়েছে। তাই জ্বরে আক্রান্ত হলে কাউকেই নিজের ইচ্ছে মতো ওষুধ খেতে নিষেধ করছে স্বাস্থ্য দফতর। সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বলা হচ্ছে। যদি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও উপযুক্ত চিকিৎসা মিলছে না বলে কেউ মনে করেন, তাহলে তাঁদের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আসার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
আজ, মঙ্গলবার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠানো হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এই জ্বরের কারণ জানা যাবে। ততদিন পদ্ধতি মেনেই এই জ্বরের চিকিৎসা চলবে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।