জোড়াতাপ্পিতেই সঙ্কট

গত বছর ভেঙেছে সেতু। তারপর জোড়াতাপ্পি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি সারানোর নাম নেই। জীর্ণ সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে গাড়ি। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মণিদহ শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:০৮
Share:

বিপদ-পথ: নড়বড়ে সেতুতে দুলে দুলে চলে গাড়ি। মণিদহের চাতরকলায়। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

গত বছর ভেঙেছে সেতু। তারপর জোড়াতাপ্পি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি সারানোর নাম নেই। জীর্ণ সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে গাড়ি।

Advertisement

মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছে মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম ভায়া ধেড়ুয়া সড়ক। সেখানেই মণিদহের চাতরকলায় খালের উপর রয়েছে এই সেতু। সেতুর মুখে বোর্ড লাগিয়ে সতর্কতামূলক বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি সেতুর। এই সড়কে দিনে কয়েকশো লরি চলে, বেশিরভাগই বালি বোঝাই। বেশ কিছু বাসও চলাচল করে। স্থানীয়দের বক্তব্য, এর আগে মাঝেমধ্যে সড়ক সংস্কার হয়েছে, কখনও নতুন করে সড়ক তৈরিও হয়েছে। তবে পুরনো সেতুর দিকে নজর দেওয়া হয়নি।

পরিণামে, গত অক্টোবরে সেতুটি ভেঙে যায়। যান চলাচল ব্যাহত হয় এই সড়কে। চটজলদি সেতু মেরামত অসম্ভব ছিল। পরিস্থিতি দেখে সেতুর পাশে বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়। পরে ভাঙা সেতুতে জোড়াতাপ্পি দেওয়া হয়। জোড়াতাপ্পি দেওয়ার পরে ফের এই সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। সেতুটি ভাল ভাবে সারানোর কাজ শুরুই হয়নি।

Advertisement

অথচ এই সেতুটি ভেঙে গেলে মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম ভায়া ধেড়ুয়া সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। দুর্ভোগে পড়বেন বহু মানুষ। সেতুটি যে বিপজ্জনক তা মানছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অঞ্জলি সরেন, উপপ্রধান অঞ্জন বেরাও। উপপ্রধান বলেন, “সেতুটি ব্রিটিশ আমলের। গত বছর সেতুর ভাঙা অংশ মোটামুটি ভাবে মেরামত হয়েছে। পূর্ত দফতরই কাজটি করেছে। তবে সেতুটি ভাল ভাবে সারানো প্রয়োজন। ফের পূর্ত দফতরে দরবার করব।’’ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরির আশ্বাস, “ওই সেতুর বিষয়টি দেখছি।’’ মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক দীননারায়ণ ঘোষেরও আশ্বাস, “বিষয়টি দেখছি।’’

গত বছর ভাঙা সেতু পরিদর্শন করেছিলেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। প্রকল্প তৈরি হয়েছিল। তবে আর কাজ এগোয়নি। স্থানীয় এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘আগেই সংস্কার করা উচিত ছিল। তা হলে আর সেতুটি গত বছর ওই ভাবে ভাঙত না।’’ সেতু জুড়ে এখন অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। এক সময় গর্ত মেরামত করা হয়েছিল। জল জমে ফের গর্ত তৈরি হয়েছে। সেতুতে অজস্র ছোটখাটো ফাটলও রয়েছে। স্থানীয় এক গ্রামবাসীর কথায়, “ভারী লরি গেলে এই সেতু যেন দোলে, নড়ে ওঠে, ভয়ও লাগে।’’ পূর্ত দফতরের এক কর্তার অবশ্য আশ্বাস, “আগেই ওই সেতুর পরিদর্শন হয়েছে। কিছু অংশ সারানোর প্রয়োজন থাকতে পারে। সেই সব অংশ সারাতে পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন