একদিনের প্রতীকী বাস ধর্মঘট থেকে পিছু হঠছে না কেশপুর বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আজ, মঙ্গলবার মেদিনীপুর থেকে কেশপুর, নাড়াজোল হয়ে ঘাটাল, কেশপুর থেকে চন্দ্রকোনা হয়ে পলাশ্চাবড়ি রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে আগেই প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছিল অ্যাসোসিয়েশন। প্রশাসনিক কর্তারা অনুরোধও করলেও সিদ্ধান্তে অনঢ় অ্যাসোসিয়েশন। ফলে, অফিস যাত্রী, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়বেন বলে আশঙ্গা। বাস মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক হবিবুর রহমান অবশ্য বলেন, “দেড় বছর ধরে রাস্তা খারাপ। খারাপ রাস্তায় যানবাহনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বারবার দাবি জানিয়েও সুরাহা হয়নি। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য হয়েই ধর্মঘটের পথে যেতে হল।”
কয়েক কিলোমিটার ঘুরপথে চন্দ্রকোনা রোড হয়ে যাতায়াত এড়াতে কেশপুর, মুগবসান, নাড়াজোল প্রভৃতি এলাকায় এই একমাত্র রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। কম সময়ে ঘাটাল, চন্দ্রকোনা পৌঁছনো যায়। এই রুটে সারা দিনে ১০৪টি বাস চলাচল করে। তার মধ্যে ৯০টি বাস দু’বার করে চারবার এবং ১৪টি বাস একবার যাতায়াত করে। খন্দপথে হেলেদুলে বাস চলায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। পূর্ত দফতর জানিয়েছে, মেদিনীপুর থেকে পাঁচখুরি পর্যন্ত কিছুটা রাস্তায় খানাখন্দ সারানোর কাজ হলেও দু’চারদিনেই তা ফের ভেঙে পড়ে। এই রাস্তা দিয়ে সংখ্যায় বেশি ও ভারী যানবাহন যাতায়াত করায় দ্রুত ক্ষতি হয়।
তাহলে রাস্তাটি নতুন করে তৈরি বা করা হচ্ছে না কেন? পূর্ত দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তাটি আরও চওড়া করে নতুনভাবে তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পরিকল্পনায় কিছু সংশোধন প্রয়োজন থাকায় তা ফের রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।”