প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিল বাস মালিক সংগঠন। সোমবার বিকেলে কেশপুরে এই বৈঠকে ছিলেন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক দীননারায়ণ ঘোষ। মেদিনীপুর-কেশপুর রাস্তা মেরামতের দাবিতেই আগামী শনিবার থেকে তিনদিনের প্রতীকী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বাস মালিক সংগঠন। এ দিনের বৈঠকে প্রশাসন আশ্বাস দেয়, দ্রুতই এই রাস্তা মেরামত করা হবে। তারপরই ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে সংগঠন। কেশপুর বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে হাবিবুর রহমান বলেন, “এ দিনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। প্রশাসন দ্রুত রাস্তা মেরামতের আশ্বাস দিয়েছে। এখন আর ধর্মঘট হবে না।”
সপ্তাহ কয়েক আগেও এই রুটে প্রতীকী বাস ধর্মঘট হয়েছিল। মেদিনীপুর থেকে কেশপুরের দূরত্ব ২০.৫ কিলোমিটার। রাস্তাটি একেবারে বেহাল। মাঝেমধ্যেই খানাখন্দ। কখনও কখনও জোড়াতাপ্পি দেওয়া হয়। পরে ফের পিচ উঠে তৈরি হয় ছোট-বড় গর্ত। জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। অথচ, রাস্তার হাল ফেরাতে প্রশাসনের হুঁশ নেই বলেই অভিযোগ। জেলা প্রশাসনের অবশ্য দাবি, সমস্যার কথা অজানা নয়। তা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “মেদিনীপুর-কেশপুর রাস্তাটি নতুন করে তৈরি হবে। এ জন্য পরিকল্পনাও হয়েছে।” প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি, আগের পরিকল্পনা মতো কাজ হলে এতদিনে কাজ শুরু হয়ে যেত। কিন্তু আগের পরিকল্পনা মতো কাজ হবে না। রাস্তাটি আরও চওড়া করে নতুন ভাবে তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনায় কিছু সংশোধন প্রয়োজন ছিল। পরিকল্পনায় সংশোধন প্রয়োজন থাকার জন্যই তা ফের রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তাও মানছেন, “মেদিনীপুর-কেশপুর রাজ্য সড়কের হাল সত্যিই খুব খারাপ। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে রাস্তাটি নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, রাস্তাটি নতুন করে তৈরি করতে খরচ হতে পারে প্রায় একশো কোটি টাকার মতো। অর্থের জন্য রাজ্যের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষাও রয়েছে। বাস ধর্মঘট হলেও প্রচুর মানুষ সমস্যায় পড়তেন। সব দিক খতিয়ে দেখেই সোমবার তড়িঘড়ি কেশপুরে ওই বৈঠক হয়। মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, “এ দিন বাস মালিক সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে। ধর্মঘট হবে না বলে সংগঠন জানিয়েছে।”