আধার জট কাটাতে প্রতি ওয়ার্ডে শিবির

আধার কার্ডের জট কাটাতে মহকুমাশাসকের উপস্থিতিতে বিশেষ বোর্ড মিটিং করল খড়্গপুর পুরসভা। ঠিক হয়েছে, আধার কার্ডের ছবি তুলতে ফের এজেন্সিকে দিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে শিবির হবে। তবে পুরসভা নয়, কোন ওয়ার্ডে ক’দিন শিবির হবে তা ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৬ ০০:৫৯
Share:

আধার কার্ডের জট কাটাতে মহকুমাশাসকের উপস্থিতিতে বিশেষ বোর্ড মিটিং করল খড়্গপুর পুরসভা। ঠিক হয়েছে, আধার কার্ডের ছবি তুলতে ফের এজেন্সিকে দিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে শিবির হবে। তবে পুরসভা নয়, কোন ওয়ার্ডে ক’দিন শিবির হবে তা ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি।

Advertisement

আধার কার্ড না মেলায় আমজনতার ভোগান্তি নিয়ে সম্প্রতি আনন্দবাজারের এই সংস্করণে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হত। তারপরই নড়ে বসেছে প্রশাসন ও পুরসভা। পরস্পরের প্রতি দায় ঠেলাঠেলি দূরে সরিয়েই এ দিন বৈঠকে বসে দু’পক্ষ।

খড়্গপুরের ৬০ শতাংশ বাসিন্দা আধার কার্ড পাননি। আগে ওয়ার্ড ভিত্তিক শিবির করে কার্ড তৈরির ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ বাসিন্দা ছবি তোলার সুযোগ না পাওয়ায় অশান্তির জেরে সেই প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়। সেই জট কাটিয়ে কীভাবে আধার কার্ড তৈরি করা যায়, তা নিয়েই শুক্রবার খড়্গপুর পুরসভার সভাঘরে বোর্ড মিটিং হয়। হাজির ছিলেন মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্যও।

Advertisement

বৈঠকে হাজির ৩০জন কাউন্সিলর প্রতিটি ওয়ার্ডে শিবির করার কথা বলেন। কিন্তু এর আগে শিবির করতে গিয়ে দেখা গিয়েছিল, কম্পিউটার কম। ফলে, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও ছবি তুলতে পারেননি অনেকে। আবার সংশ্লিষ্ট এজেন্সির কর্মীরা আগে ছবি তোলা হয়েছে এমন নাগরিকের ছবি তোলেননি। ফলে, ক্ষোভ ছড়ায়। কয়েকটি শিবিরে তুমুল অশান্তির পরে পাততাড়ি গোটান এজেন্সির কর্মীরা।

ফলে, যাঁদের আধার কার্ড হয়নি, তাঁরা সঙ্কটে। কারণ, পেনশন থেকে এলপিজিতে ভর্তুকি, এই পরিচয়পত্র এখন অনেক জায়গাতেই বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সমস্যা মেটাতে তাই ফের প্রতিটি ওয়ার্ডে শিবির করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ওই শিবিরে এজেন্সির কাছে থাকা তালিকায় যাঁদের আধার কার্ডে ছবি তোলার কথা উল্লেখ থাকবে শুধু তাঁদের ছবি তোলা হবে। বাকিদের প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ করতে বলা হবে।

এই প্রক্রিয়া শেষের আগে যদি কোনও পেনশনভোগী বা এলপিজি গ্রাহক সমস্যায় পড়েন তখন কী হবে বৈঠকে সেই প্রশ্ন ওঠে। পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “তালিকা অনুযায়ী এজেন্সি ছবি তুলবে। আর তার আগে যাঁদের আধার কার্ড দরকার তাঁদের বিষয়টি মহকুমাশাসককে দেখতে বলা হয়েছে। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে যাতে ঠিকঠাক আধার কার্ড পৌঁছয়, সেই আবেদনও জানানো হবে।” বৈঠক শেষে খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “যাঁদের আধার কার্ড হয়নি, তাঁদের জন্য আমরা পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ও এলপিজি ডিট্রিবিউটরদের নিয়ে বৈঠকে বসব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন