উপভোক্তাদের হাতে ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ড দ্রুত তুলে দিতে উদ্যোগী হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। চলতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যেই প্রত্যেক উপভোক্তাকে কার্ড দেওয়া হবে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সারওয়াত আব্বাস। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত এক লক্ষেরও বেশি কার্ড বিলি হয়েছে।
চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মচারী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনতেই এই প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। প্রশাসন জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৯৭ জন উপভোক্তা রয়েছেন। যার বেশিরভাগই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য। তালিকা তৈরির পরে ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় স্মার্ট কার্ড বিলি। প্রশাসন জানিয়েছে, ঝাড়গ্রাম মহকুমায় কার্ড বিলির কাজ প্রায় শেষ। এ বার কার্ড বিলি হচ্ছে ঘাটাল ও মেদিনীপুর মহকুমায়। আগামী মঙ্গলবার থেকে খড়্গপুর মহকুমায় কার্ড দেওয়া শুরু হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৩১৬ জনকে স্লিপ দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ২৫৯ জনকে কার্ড দেওয়া হয়েছে।
নজরে স্বাস্থ্যবিমা
• চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মচারী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনতেই এই প্রকল্প।
• উপভোক্তা ছাড়াও বিমার আওতায় আসবেন স্ত্রী, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি এবং ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা।
• একটি পরিবার বছরে সাধারণ রোগের জন্য দেড় লক্ষ টাকা এবং জটিল রোগের জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা পাবে।
• পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩০টি সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে এই প্রকল্পে চুক্তি হয়েছে।
যে সব হাসপাতালে ৩০ বা তার অধিক শয্যা রয়েছে সেই সব হাসপাতাল ছাড়া চুক্তি করা যায় না। সেই নিরিখেই মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি মহকুমা হাসপাতাল, গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছে প্রশাসন। তবে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের সঙ্গে এ ক্ষেত্রে কোনও চুক্তি নেই। ফলে, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করাতে হবে।