Central Team

সরকারি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে ফের কেন্দ্রীয় দল

দুই সদস্যের দলটি মঙ্গলবার সকালে তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলা প্রশাসনিক অফিসে আসে। জেলাশাসক এবং অন্য পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠকের পরে দল দুপুর ১টায় যায় নন্দকুমার ব্লকের গিরিরচক গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:২২
Share:

পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল। নিজস্ব চিত্র

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তাদের তালিকা তদন্তে কিছুদিন আগে দু’দফায় জেলায় এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। এবার একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে ফের কেন্দ্রীয় দল এল পূর্ব মেদিনীপুরে। দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় দল মঙ্গলবার নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম পঞ্চায়েতের গিরিরচক ও পাহাড়িচক গ্রামে যায়। আর পরিদর্শনের সময় সদস্যদের শুনতে হল, একশো দিনের কাজের টাকা না পাওয়ার বিষয়ে শ্রমিকদের নালিশ।

Advertisement

দুই সদস্যের দলটি মঙ্গলবার সকালে তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলা প্রশাসনিক অফিসে আসে। জেলাশাসক এবং অন্য পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠকের পরে দল দুপুর ১টায় যায় নন্দকুমার ব্লকের গিরিরচক গ্রামে। কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনের সময় ছিলেন নন্দকুমারের বিডিও শানু বক্সী এবং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। দলের সদস্যেরা গিরিরচক গ্রামের বাসিন্দা শেখ আব্দুল সামদের পরিবারের একশো দিনের কাজের প্রকল্পে নতুন পুকুর খননের কাজ পরিদর্শন করেন। পুকুরের ছবি তোলেন। এক বছর আগে ওই পুকুর খনন কাজে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে প্রায় ৯৬ হাজার ৯৪৭ টাকা খরচ হয়েছিল। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা আব্দুল সামদের কাছে জানতে চান পুকুর খননের কাজে তিনি নিজে কাজ করেছিলেন কি না, সামেদ জানান, তিনি কাজ করেননি। তাঁর ছেলেরা কাজ করেছিলেন। ওই পুকুর খননে মোট কত জন শ্রমিক কাজ করেছিলেন, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় দল। পুকুর খননের ফলে তাঁর উপকার হয়েছে কি না, সামেদের কাছে তা-ও জানতে চাওয়া হয়। সামেদ জানান, তিনি ওই পুকুরে মাছ চাষ করছেন। জল চাষের কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

ওই পুকুর খনন কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের ‘জব কার্ড’ হাতে নিয়ে কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা জানতে চান, তাঁরা কাজ করেছিলেন কি না, কতদিন ধরে কাজ করেছেন। শ্রমিকেরা কেন্দ্রীয় দলের কাছে অভিযোগ জানান, পুকুর খননের কাজের পর এক বছর কাটতে চললেও তাঁরা এখনও মজুরির টাকা পাননি। ওই পুকুর খননে কাজ করা গ্রামের বাসিন্দা রহিমা বিবি, আখলিমা বিবি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমরা ওই পুকুর খননে ৪১ দিন করে কাজ করেছি। কিন্তু এক বছর পার হলেও এখনও কাজের টাকা মেলেনি। একশো দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত সুপার ভাইজার ও গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে বার বার জানিয়েও টাকা পাওয়া যায়নি।’’ কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা এদিন গিরিরচক গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নির্মিত পাকাবাড়ি নির্মাণ হয়েছে, এরকম পাঁচটি বাড়ি পরিদর্শন করেন ও পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নেন। সরকারি ভাতা পাচ্ছেন কি না, তা-ও খোঁজ নেন। কেন্দ্রীয় দল পাশের পাহাড়িচক গ্রামে গিয়ে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে নির্মিত কংক্রিট রাস্তা পরিদর্শন করেন। বিকেল ৩টে পর্যন্ত ওই সব গ্রাম গুলিতে ঘুরে একশো দিনের কাজের প্রকল্প, আবাস যোজনার কাজ এবং সরকারি ভাতার বিষয়ে খতিয়ে দেখার পরে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যান। পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে একশো দিনের কাজ এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজের নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। বিকেল ৫টা নাগাদ কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা ওই এলাকা ছাড়েন। নন্দকুমারের বিডিও শানু বক্সী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা এলাকায় পরিদর্শনে এসে একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং সরকারি ভাতা প্রভৃতি বিষয়ে খতিয়ে দেখেছেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন