কলেজিয়েট স্কুল (বালক)

বাজিমাত পড়ুয়াদের তৈরি প্রকল্পেই, মিলল অনুদান

উন্নতমানের গবেষণাগার তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় অনুদান পাচ্ছে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল (বালক)। পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে একমাত্র এই সরকারি স্কুলই কেন্দ্রীয় অনুদান পাচ্ছে। অনুদান হিসেবে সবমিলিয়ে পাওয়া যাবে ২০ লক্ষ টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:২৭
Share:

জল অপচয় ঠেকাতে প্রকল্প পড়ুয়াদের।—নিজস্ব চিত্র।

উন্নতমানের গবেষণাগার তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় অনুদান পাচ্ছে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল (বালক)। পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে একমাত্র এই সরকারি স্কুলই কেন্দ্রীয় অনুদান পাচ্ছে। অনুদান হিসেবে সবমিলিয়ে পাওয়া যাবে ২০ লক্ষ টাকা। প্রথম বছর ১২ লক্ষ টাকা ও তারপরের ৪ বছর ২ লক্ষ করে টাকা করে মিলবে। স্কুলের টিচার-ইনচার্জ আশিস কর বলেন, “স্কুলে উন্নতমানের গবেষণাগার তৈরি হলে সব দিক থেকেই সুবিধা। পড়ুয়ারা হাতেকলমে অনেক কিছু শিখতে পারবে।”

Advertisement

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত গবেষণাগার থাকলেও অনেক স্কুলেই তা নেই। স্কুলেও উন্নত গবেষণাগার তৈরির জন্য নতুন প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও সাক্ষরতা বিভাগের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের নাম ‘অটল ইনোভেশন মিশন’। প্রকল্পের অনুদানের জন্য সারা দেশের প্রায় দশ হাজার স্কুল আবেদন করে। প্রাথমিক ভাবে বাছাইয়ের পর প্রায় তিন হাজার স্কুলের নামের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। পরে ৫৯৪টি স্কুল প্রকল্প দেখানোর ডাক পায়। সব দিক খতিয়ে দেখার পর দেশের মোট ২৫৭টি স্কুলকে এ বার অনুদানের অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরমধ্যে রয়েছে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল (বালক)।

স্কুল সূত্রে খবর, কেন্দ্রের কয়েকটি শর্ত ছিল। অনুদানের জন্য আবেদনকারী স্কুলকে এই গবেষণাগার তৈরির জন্য ক্যাম্পাসে ১,৫০০ বর্গফুট জায়গা দিতে হবে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা থাকতে হবে। পাশাপাশি, স্থানীয় বিষয়ের উপর প্রযুক্তির দিক দিয়ে প্রকল্প দেখাতে হবে। জল অপচয় রোধের প্রকল্প তৈরি করে স্কুলের নবম শ্রেণির তিন ছাত্র সৈকত বাগ, সপ্তক মণ্ডল ও নিরঞ্জন বারিক। তাদের সহায়তা করেন কয়েকজন শিক্ষক। শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুচাঁদ পান। এই প্রকল্প দেখিয়েই বাজিমাত করে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল। প্রকল্পের মাধ্যমে এই পড়ুয়ারা দেখায়, জল অপচয় রোধে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। সৈকত, সপ্তক, নিরঞ্জনের কথায়, “মেদিনীপুরে পানীয় জল অপচয়ের সমস্যা রয়েছে। তাই এই প্রকল্প তৈরির উদ্যোগ।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন