ভাঙাচোরা সেতুতে ভারী গাড়ি। চন্দ্রকোনায়। নিজস্ব চিত্র
নতুন সেতু পেতে এখনও দু’-আড়াই বছর। ততদিন চন্দ্রকোনার কেঠে নদীর জীর্ণ সেতুই ভরসা।
কলকাতার মাঝেরহাটে সেতুভঙ্গের পরে জেলায় জেলায় বিপজ্জনক সেতু নিয়ে আশঙ্কা বেড়েছে। পূর্ত দফতর জানাচ্ছে, প্রায় একশো বছর আগে কেঠে নদীর উপর তৈরি হয়েছিল ৪০ মিটার লম্বা ও চার মিটার চওড়া এই সেতু। দীর্ঘদিন তার কোনও সংস্কার হয়নি। ক’দিন আগেই জলের তোড়ে সেতুর নীচের চাতাল ভেঙেছে। স্তম্ভগুলিরও ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পূর্ত দফতরের বাস্তুকারেরা। সেতুর ডেক স্ল্যাবে ফাটলও দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া, রেলিং নেই, উঠে গিয়েছে পিচ। অভিযোগ, দুর্বল এই সেতু নিয়ে হেলদোল নেই প্রশাসনের। যান চলাচলেও লাগাম টানেনি পুলিশ ও পূর্ত দফতর।
ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কে এই সেতু দিয়ে দিনে গড়ে ১১ হাজার গাড়ি চলাচল করে। এর মধ্যে ৭০-৮০ টনের অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যায় হাজার পাঁচেক। হলদিয়ার বিভিন্ন কারখানায় লৌহ আকরিক, ম্যাঙ্গানিজ ভর্তি গাড়িও যায় এই সেতু দিয়ে। চলাচল করে বালি বোঝাই লরি-ডাম্পার। তা ছাড়া, চারচাকার গাড়ি, বাস আর হাজার খানেক বাইক তো রয়েছেই।
পূর্ত দফতর জানিয়েছে, পুরনো সেতুর পাশেই নতুন সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে ঠিকাদার সংস্থাকে। কিন্তু বর্ষায় নদীতে জল থাকায় এখন কাজ শুরু হয়নি। বর্ষা গেলেই পুরোদমে কাজ শুরু হবে। দু’বছরের মধ্যেই নতুন সেতু চালুর আশ্বাসও দিচ্ছে পূর্ত দফতর। পূর্ত দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের নজরে ওই সেতুটি আছে। ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হবে। আর গতি কমাতে দু’পাশে হাম্প বসানো হবে।’’ সেতুর সংস্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।