সিআইএফের সদর দফতর তৈরি হচ্ছে শালবনিতে

স্থায়ী ঠিকানা পেতে চলেছে মাওবাদী মোকাবিলার বিশেষ বাহিনী ‘কাউন্টার ইনসারজেন্সি ফোর্স’ (সিআইএফ)। বাহিনীর সদর দফতর হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনিতে। সদর দফতর তৈরি হলে প্রশিক্ষণও হবে এখানেই।

Advertisement

সুমন ঘোষ

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৬ ০১:৩৭
Share:

স্থায়ী ঠিকানা পেতে চলেছে মাওবাদী মোকাবিলার বিশেষ বাহিনী ‘কাউন্টার ইনসারজেন্সি ফোর্স’ (সিআইএফ)। বাহিনীর সদর দফতর হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনিতে। সদর দফতর তৈরি হলে প্রশিক্ষণও হবে এখানেই।

Advertisement

এত দিন কখনও গড়িয়া, কখনও দুর্গাপুর— এই ছিল বাহিনীর সদর দফতর। প্রশিক্ষণ হত সালুয়ার ইএফআর জওয়ানদের জন্য তৈরি ফায়ারিং রেঞ্জে। তাই ২০১৩ সাল থেকে একটি স্থায়ী ঠিকানার সন্ধান চলছিল বাহিনীর জন্য। শালবনির সরস্বতীপুরে প্রায় দেড়শো একর জমি সেই খোঁজ মিটিয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচিল তৈরির কাজ শেষ। সিআইএফের আইজি অজয় নন্দা বলেন, “বছর দু’য়েকের মধ্যেই সদর দফতর নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপর থেকে এখানেই থাকা, প্রশিক্ষণ— সব হবে।”

অন্ধ্রপ্রদেশে ‘গ্রে হাউন্ড’-এর ধাঁচে জঙ্গলমহলে মাওবাদী মোকাবিলার লক্ষ্যে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলদের দিয়ে সিআইএফ তৈরি হয়েছিল ২০১০ সালে। তখন খুন-জখম, ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ছিল জঙ্গলমহলে নিত্যকার ঘটনা। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। সাম্প্রতিক অতীতে আর নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। রাজ্য সরকারেরও দাবি, বর্তমানে জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা আর নেই। তবে লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী সক্রিয়তা রয়েছে। সীমানা এলাকায় তাদের গতিবিধিও রয়েছে। তাই ভবিষ্যতে যাতে মাওবাদীরা জঙ্গলমহলে মাথাচাড়া না দিতে পারে সে জন্য রাজ্য সরকার তৎপর। উন্নয়নের নানা প্রকল্পের পাশাপাশি মাওবাদী মোকাবিলায় পারদর্শী সিআইএফকে রাখা হচ্ছে। রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাধিক ক্যাম্পও।

Advertisement

রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলদের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের বেছে নেওয়া হয় সিআইএফে। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফায়ারিং রেঞ্জের বাইরে জঙ্গলে গিয়েও চলছে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের পর তিন-সাড়ে তিন বছর বাহিনীতে রাখার পর ফিরিয়ে দেওয়া হবে থানায়। আইজি বলেন, “জঙ্গলের প্রতিকূল পরিবেশেও কীভাবে লড়াই করতে হবে, সেই প্রশিক্ষণেই জোর দেওয়া হয়।”

এমন গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর এতদিন স্থায়ী কোনও ঠিকানা ছিল না। তার জন্য খোঁজ শুরু হয় ২০১৩-তে। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া, জঙ্গলমহলের তিন জেলাতেই খোঁজ চলে। কিন্তু সদর দফতরের জন্য ন্যূনতম দেড়শো-দু’শো একর জমি প্রয়োজন ছিল। অবশেষে শালবনির সরস্বতীপুরে জমি পাওয়া যায়। আপাতত, পাঁচিল তোলার কাজ শেষ। এরপর ফায়ারিং রেঞ্জ, ব্যারাক, অফিস, আধিকারিকদের আবাসন, ধাপে ধাপে সব তৈরি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন