তৃণমূলের চাপে অতিরিক্ত অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ বার সেই কর্মীদের বেতন দিতে পড়ুয়াদের ফি বৃদ্ধি করল খড়্গপুর কলেজ।
কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষুব্ধ। ইতিমধ্যে এ নিয়ে সরব হয়েছে ডিএসও। কোন খাতে কলেজ এই বর্ধিত ফি খরচ করছে তার জবাব চেয়েছে এই ছাত্র সংগঠন। ডিএসও-র জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মধুমিতা ভুঁইয়া বলেন, “এই ফি বৃদ্ধি অনৈতিক।” একাংশ ছাত্র আবার ভর্তি বয়কট করেছে। সরব হয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। সংগঠনের শহর জোনাল সম্পাদক সৈয়দ সাদ্দাম আলির কথায়, “কর্মী নিয়োগে অনিয়ম ও অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করে কলেজ বিপাকে পড়েছে। ওই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন জোগার করতে কলেজ ছাত্রদের কাঁধে এই বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।”
গত বছর ফি বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিল খড়্গপুর কলেজ। পড়ুয়ারা সরব হওয়ায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষে ভর্তিতে বর্ধিত ফি ৫০০ টাকা কমিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। এ বছর ফের ৫০০ টাকা ফি বাড়ানো হয়েছে। তিন দিন ধরে তৃতীয় বর্ষে ভর্তিতে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা ফি নেওয়ার পরই আপত্তি জানান পড়ুয়ারা। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবি তোলে। তবে লাভ হয়নি।
১৫ জন কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল খড়্গপুর কলেজ। পরে অবশ্য ৩৩ জন কর্মী নিয়োগের হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় কলেজ পরিচালন সমিতি। শেষমেশ ৩৮ জনকে নিয়োগ করা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের স্বজনপোষণের চাপে বাড়তি কর্মী নিয়োগে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পরে অতিরিক্ত কর্মীদের বেতনের টাকা কোত্থেকে দেওয়া হবে সেই প্রশ্ন ওঠে। কারণ, কলেজের এই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেয় কলেজ। আর কলেজ তহবিলে সেই টাকা আসে ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া ফি থেকেই। তাই ফি বৃদ্ধির আশঙ্কা ছিলই। যদিও কলেজের সভাপতি তথা জেলা তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ ফি বৃদ্ধি হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে এ দিন কলেজের টিচার ইন-চার্জ কৌশিক ঘোষ বলেন, “গত বছর কলেজে ফি বেড়েছিল। পরে আমরা ফি কমিয়ে দিয়েছিলাম। এ বার নিয়ম মেনে ফি বেড়েছে। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তৃতীয় বর্ষে ফি বাড়ানো হবে না। যাঁরা বর্ধিত ফি দিয়ে ভর্তি হয়েছিল তাঁদের টাকাও ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”