পুনর্বাসনের দাবি ব্যবসায়ীদের

শহরের দোকানপাটে জমজমাট দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ফুটপাথ ও হাইড্রেন বানাবে পূর্ত দফতর। আর তার জেরে কয়েকশো ব্যবসায়ীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৬ ০০:৩৪
Share:

শহরের দোকানপাটে জমজমাট দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ফুটপাথ ও হাইড্রেন বানাবে পূর্ত দফতর। আর তার জেরে কয়েকশো ব্যবসায়ীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ, রাস্তার দু’দিকে ফুটপাথ ও একদিকে নালা তৈরির জন্য দু’পাশের সমস্ত দোকানপাট ভেঙে ফেলতে হবে। ব্যবসায়ীরা অবশ্য উন্নয়নের বিরোধিতা করছেন না, তবে রুজিরুটির স্বার্থে তাঁরা প্রশাসনিক মহলে স্মারকলিপি দিয়ে পুনর্বাসনের আর্জি জানিয়েছেন।

Advertisement

পূর্ত দফতরের তরফে গত ২৭ মে মাইকে প্রচার করে ব্যবসায়ীদের সরে যেতে বলা হয়েছে। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, শহরের পাঁচ মাথা মোড় থেকে স্টেশন পর্যন্ত এবং সুভাষচক থেকে কোর্ট রোড হয়ে শিবমন্দির মোড় পর্যন্ত দু’টি রাস্তার দু’দিকে চওড়া ফুটপাত তৈরি করা হবে। এ ছাড়া পাঁচমাথা মোড় থেকে সুভাষচক হয়ে শিবমন্দির পর্যন্ত রাস্তার বাঁ দিকে চওড়া নিকাশি নালা তৈরি করা হবে।

ঘটনা হল, ওই দু’টি রাস্তার দু’ধারে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক দোকান রয়েচে। রাস্তার ধারে পূর্ত দফতরের জায়গা দখল করেই ওই সব দোকানপাট গড়ে উঠেছে।

Advertisement

তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁদের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। কেউ কেউ ভ্যাট-ও দিয়ে থাকেন। পূর্ত দফতরের দাবি, ওই দু’টি রাস্তায় পথচারীদের হাঁটার মতো ফুটপাথ নেই। সেই কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কয়েক মাস আগে পাঁচমাথা মোড় থেকে স্টেশনগামী রাস্তাটি সম্প্রসারণের জন্য কিছু দোকানপাটের সামনের অংশ ভাঙা হয়েছিল।

পূর্ত দফতরের এই সিদ্ধান্তের ফলে আতান্তরে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত ৩০ মে ব্যবসায়ীরা ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসকের কাছে আবেদনপত্র দিয়ে পুনর্বাসনের আর্জি জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, পুনর্বাসনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে তবেই দোকানপাট উচ্ছেদ করা হোক। ঝাড়গ্রাম মহকুমা পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপকুমার বিশ্বাস বলেন, “শীঘ্রই ওই দু’টি রাস্তায় ফুটপাত ও নালা তৈরির কাজ শুরু হবে।’’ পুনর্বাসনের বিষয়ে প্রদীপবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন