ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠল তমলুকের এক প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির বিরুদ্ধে। ছেলের রক্তপরীক্ষার রিপোর্ট ভুল দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে থাইরোকেয়ার টেকনোলজিস লিমিটেড নামে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তমলুকের বাসিন্দা সন্দীপ সেনগুপ্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
তমলুক শহরের আবাসবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সন্দীপবাবুর দেড় বছরের ছেলে সম্ভব সেনগুপ্তের কিডনির সমস্যা রয়েছে। কলকাতার মুকুন্দপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকই জানিয়েছিলেন সম্ভবের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। সে জন্য তার রক্তের বিভিন্ন রকম পরীক্ষার সুপারিশ করা হয়েছিল।
সন্দীপবাবু বলেন, ‘‘২৫ এপ্রিল তমলুকের একটি নামী ল্যাবরেটরিতে রক্তের নমুনা জমা দিয়েছিলাম। দু’দিন পরে ওই সংস্থা রিপোর্ট দেয়। দেখা যায় আমার ছেলে হেপাটাইটিস-বি পজিটিভ। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতার চিকিৎসক জানিয়ে দেন অস্ত্রোপচার করা যাবে না। আমরা খুবই হতাশ হয়েছিলাম। তখন ওই চিকিৎসকই ফের রক্ত পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন।’’
সন্দীপবাবুর দাবি, পরে তাঁরা কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে এবং অন্য আরও একটি নামী ল্যাবরেটরিতে রক্ত পরীক্ষা করান। দু’জায়গা থেকেই জানানো হয়, সম্ভবের হেপাটাইটিস-বি নেই। এর পরই সন্দীপবাবু তমলুকের ওই ল্যাবরেটরির নামে ভুল রিপোর্টের অভিযোগ জানান জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং জেলা প্রশাসনের কাছে। তিনি জেলা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরেও নালিশ জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার প্রধান দফতর মুম্বইয়ে। তমলুক শাখার ইন-চার্জ অভিষেক মণ্ডল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘ওই শিশুর রক্তের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে আমাদের দেওয়া রিপোর্ট সঠিক।’’