হয়রানির পাশাপাশি মারধরের অভিযোগ খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। থানায় দায়ের হল অভিযোগও।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৮ ফেব্রুয়ারি। শহরের ইন্দা মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে বিদ্যাসাগরপুরের বাসিন্দা শুভ্রজিৎ চৌধুরী নামে এক যুবকের বাইক আটকায় পুলিশ। শুভ্রজিতের অভিযোগ, এর পরেই দাবি করা হয়, তাঁর গাড়ির সাইলেন্সর পাইপ কাটা রয়েছে। তাঁর সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন পুলিশকর্মী। অভিযোগ, এরপরই শুভ্রজিতকে মারধর করা হয়। চোখে আঘাত লাগে তাঁর। খড়্গপুর রেলের হাসপাতালে চিকিৎসা করান ওই যুবক। এর পরে গত ৯ ফেব্রুয়ারি খড়্গপুর টাউন থানায় ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
শুভ্রজিতের দাবি, তাঁর বাবার কিডনির ডায়ালিসিস চলছে। তাই একটি ইঞ্জেকশন আনতে বাড়ি থেকে রেল হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। তিনি হেলমেট পড়ে ছিলেন। সিগন্যালের আলো সবুজ দেখে ইন্দা মোড় পেরিয়ে ডান-দিকে ঘুরতেই পাকড়াও করে পুলিশ। শুভ্রজিতের কথায়, ‘‘আমি বলেছিলাম, বাবার ইঞ্জেকশন আনতে যাচ্ছি। সাইলেন্সর কাটা থাকার জন্য জড়িমানা করে ছেড়ে দিতে। তখনই আমাকে ওই পুলিশকর্মীরা বেধড়ক মারধর করে। ”
অবশ্য ওই ঘটনার পরে পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ ছড়াচ্ছে শহরে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে মানবাধিকারের দাবিতে লড়াই করা কয়েকটি সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে শহরের বাসিন্দা, ইন্টারন্যশেনাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের জেলা সম্পাদক অমিত মিশ্র বলেন, “ আমরা পুলিশ সুপারের কাছে যাব।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “এমন মারধরের ঘটনা ঘটে থাকলে আমার কাছে অভিযোগ জানালে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব।’’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘ হেলমেট পড়তে বলা যদি হয়রানি হয়ে থাকে তবে সেই অভিযোগ ঠিক নয়।”