খাদির স্টলে বিক্রি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি। নিজস্ব চিত্র
হলদিয়ায় বন্ধ হয়ে গেল খাদির জামা কাপড় বিক্রির বিশেষ স্টল।
পুজা উপলক্ষে ইন্ডিয়ান অয়েল এমপ্লয়িজ ক্লাবে বসেছিল তিন দিনের খাদির বিশেষ জামা কাপড় ও চামড়ার জিনিস বিক্রির স্টল। দুদিনের মাথায় অনিয়মের অভিযোগে ঝামেলা হওয়ায় তা বন্ধ করে দিতে হল। ইন্ডিয়ান অয়েলের জেনেরাল ম্যানেজার (মানব সম্পদ) এস এন ঝা শনিবার রাতেই নোটিস দিয়ে ওই বিক্রি স্থগিত করে দেন। নোটিসে বলা হয়, সব ধরনের বিল যত্ন করে রাখতে।
ঝামেলা শুরু হয় এক ব্যক্তির জিনিস কেনাকে কেন্দ্র করে। তিনি সকালে একটি পোশাক কিনে নিয়ে যান ৪৫০ টাকা দরে। পরে একই জিনিস বিকেলে কিনতে এলে দাম নেওয়া হয় ৯৩৫ টাকা। অভিযোগ, হাতে লেখা ট্যাগে ওই বেশি দাম লেখা থিল। ট্যাগ তুলতেই পুরানো দাম বেরিয়ে আসে। এরপরই কারচুপির অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ জনতা গোলমাল শুরু করে।
প্রসঙ্গত, পুজার সময় ইন্ডিয়ান অয়েল সংস্থা তাদের ১৪০০ কর্মীর জন্য ১৩ হাজার টাকা করে গিফট কুপন দিয়েছেন। ওই কুপনের মাধ্যমে কেবলমাত্র খাদি থেকেই জিনিস কিনতে হবে। সেই নিরিখে হলদিয়া এমপ্লইজ ক্লাবেই বসেছিল খাদির বিশেষ দোকান। কিন্তু বেশি দামে জিনিস কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে কর্মীদের অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন। কারচুরির অভিযোগের পর সরকারি সংস্থায় এমন অনিয়ম কী ভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ইন্ডিয়ান অয়েলের এক কর্মীর অভিযোগ, ‘‘আমাদের গিফট কুপন দেওয়া হলেও কেনার স্বাধীনতা দেওয়া হয়নি। নিম্নমানের জিনিসপত্র ও জামা কাপড় আনা হয়েছে এখানে।’’
হলদিয়ায় এই বিশেষ খাদি সামগ্রী বিক্রয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঝাড়গ্রাম খাদি গ্রামোদ্যোগ ভবনের আধিকারিক অশোক কুমার নন্দী বলেন, ‘‘খাদি সামগ্রী বিক্রিতে জালিয়াতির প্রশ্নই ওঠে না। একটি পাঞ্জাবিতে ভুল করে অন্য একটি দামের ট্যাগ লেগে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। সমস্যা মেটাতে খাদির রাজ্য ডিরেক্টর এস কে গুপ্ত উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। আমরা সমস্ত কাগজপত্র দেখিয়েছি সংস্থাকে।’’