ভ্যাটে জমছে আবর্জনা

সংঘর্ষে উত্তপ্ত সবং, জখম চার

ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস অব্যাহত। কোথাও শাসকদলকে ভোট না দেওয়ার অপরাধে জলের লাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ, আবার কোথাও ভোটের ফল প্রকাশের পর ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছেই। এ বার সবংয়ে সিপিএমের পোলিং এজেন্টের বাড়িতে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর ও ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৪৫
Share:

ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস অব্যাহত। কোথাও শাসকদলকে ভোট না দেওয়ার অপরাধে জলের লাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ, আবার কোথাও ভোটের ফল প্রকাশের পর ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছেই। এ বার সবংয়ে সিপিএমের পোলিং এজেন্টের বাড়িতে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে সবংয়ের বুড়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের উচিতপুর গ্রামে বাইক নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বাম এজেন্ট নারায়ণ মাইতির বাড়িতে চড়াও হয়। ঘটনার প্রতিরোধ করে স্থানীয় সিপিএম সমর্থকেরা। অভিযোগ, তার জেরে সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষ বাধে। গোলমালে দু’পক্ষের চার জন জখম হন। বুধবার সকালে তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি, দলের উচিতপুর বুথ সভাপতি শচীন জানা, কর্মী পরিমল দাস-সহ ২২ জনের নামে সবং থানায় অভিযোগ দায়ের করে সিপিএম। তৃণমূলও পাল্টা সিপিএমের ১৮ জনের নামে পুলিশে অভিযোগ করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের আগেই তৃণমূলের লোকেরা সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি-বাড়ি ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও গ্রামের অনেকেই ভোট দিয়ে আসেন। মঙ্গলবার রাতে উচিতপুর গ্রামের এক চায়ের দোকানে এই নিয়ে সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা বাধে। তখনকার মতো গোলমাল থেমেও যায়। সিপিএমের অভিযোগ, এরপরেই রাতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সমীর দাসের ভাই পরিমল ও বুথ সভাপতি শচীনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বাইকে করে নারাযণবাবুর বাড়ির সামনে হাজির হন। এ বার ভোটে উচিতপুর বুথে সবংয়ের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন নারায়ণবাবু।

Advertisement

অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরা নারায়ণবাবুকে বাড়ির বাইরে বেরোতে বলেন। চিৎকার শুনে বাইরে বেরিয়ে আসেন নারায়ণবাবুর প্রতিবেশী সিপিএম সমর্থক তপন মাইতি। তপনবাবুকে দেখতে পেয়ে তাঁকেই অস্ত্র দিয়ে মারতে যায় তৃণমূল কর্মীরা।

মঙ্গলবার রাতে ঘাটালের মনসুকা লোকাল কমিটির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী। অন্য দুই সদস্যকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নামে। কিন্তু কেউ গ্রেফতার না-হওয়ায় বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী সমর্থকরা। মঙ্গলবার রাতেই ঘাটালে পথ অবরোধ
করেন তাঁরা।

মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাসে অনেকে ভোট দিতে পারেননি। ওদের হামলা এখনও অব্যাহত। আসলে ওরা ভয় পেয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন