লোয়াদা সেতু

২১ জন জমি দিলেও কাটেনি জট

ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে ১৪ বছর। ডেবরার লোয়াদা সেতু তৈরি হয়ে পড়ে থাকলেও হয়নি সংযোগকারী রাস্তা। এ বার জমি দিতে এগিয়ে এলেন জমিদাতারা। মঙ্গলবার লোয়াদা সেতুর সংযোগকারী রাস্তার জন্য নন্দবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা জমি দিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০০:০৯
Share:

ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে ১৪ বছর। ডেবরার লোয়াদা সেতু তৈরি হয়ে পড়ে থাকলেও হয়নি সংযোগকারী রাস্তা। এ বার জমি দিতে এগিয়ে এলেন জমিদাতারা। মঙ্গলবার লোয়াদা সেতুর সংযোগকারী রাস্তার জন্য নন্দবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা জমি দিলেন। এ দিন নন্দবাড়ি মৌজার ২১ জন জমিদাতার থেকে জমি কিনল জেলা পরিষদের পূর্ত বিভাগ। যদিও পাশের নরহরিপুর মৌজার বাসিন্দারা এখনও জমির দর নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। ফলে রাস্তা তৈরির জট কাটল না এখনও।

Advertisement

ডেবরার কাঁসাইয়ের তীরের এই এলাকায় নদী পারাপারের সমস্যা দীর্ঘদিনের। সেতু না থাকায় নদীর জল বাড়লেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে উত্তর ও দক্ষিণ দিকের গ্রামগুলি। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ২০০২ সালে কাঁসাইয়ে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০০৭ সালে নদীর ওপরের অংশে সেতুর কাজ শেষও হয়ে যায়। যদিও জমি না মেলায় আটকে ছিল সেতুর সংযোগকারী রাস্তা তৈরির কাজ। ২০১৫ সালে নন্দবাড়ি মৌজার ন’জন চাষি জমি দিতে রাজি হলেও বাকিরা বেঁকে বসেন।

এ দিন ২১ জন চাষি মোট ১ একর ৩৬ ডেসিমেল জমি জমি বিক্রি করলেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে এখনও প্রায় ৫ একর জমি প্রয়োজন বলে জানা গিয়েছে। এ জন্য ইতিমধ্যেই অন্য মৌজার বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় জমিদানে এগিয়ে এসেছেন। তবে নরহরিপুর মৌজার বাসিন্দারা এখনও জমি দিতে রাজি না হওয়ায় সমস্যা রয়েই গিয়েছে। তাঁদের দাবি, ফতেপুর মৌজার বাসিন্দারা জমির যে দর পাচ্ছেন নরহরিপুর মৌজার বাসিন্দারা সেই দাম পাচ্ছেন না। ন্যায্য দাম পেলে তবেই জমি দেবেন জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

তৃণমূলের ডেবরা ব্লক সভাপতি রতন দে বলেন, “নরহরিপুরের মানুষ জমির দাম কম পাওয়ায় একটা সমস্যা হয়েছে। ওঁদের দাবি ন্যায্য। জেলা পরিষদের কাছে আবেদন করেছি, যাতে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ে জমির বিক্রেতাদের বিলি করা হয়। আশা করছি, জেলা পরিষদ এই ব্যবস্থা করলে গ্রামবাসী জমি দেবে।” এ দিন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “নন্দবাড়ি এলাকায় কিছু জমি কেনা হয়েছে। নরহরিপুর ও ফতেপুরে জমির দামে পার্থক্য হওয়ায় সমস্যা হয়েছে। মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ার প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন