ভোটের আগে ঠান্ডা লড়াই, বিডিও-পঞ্চায়েত বিরোধ সুতাহাটায়

ঘটনাটি ঠিক কী? প্রশাসন ও তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে হলদিয়ার মহকুমাশাসকের দফতরে একটি জরুরি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে ব্লকের ৬জন গ্রাম প্রধান ও বিডিও-র উপস্থিতিতে একাধিক অভিযোগের শুনানি হয়। সেখানে বিডিও-র বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের অভিযোগের সপক্ষে পঞ্চায়েত প্রধানরা প্রমাণ দিতে পারেননি বলে মহকুমা প্রশাসনের দাবি। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুতাহাটা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০০:৪২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

‘পাখির চোখ’ এখন লোকসভা ভোট। আর লক্ষ্যভেদের অস্ত্র ‘উন্নয়ন’। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই ‘উন্নয়ন’ নিয়েই ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে শাসক দল ও প্রশাসনের। ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা।

Advertisement

ঘটনাটি ঠিক কী? প্রশাসন ও তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে হলদিয়ার মহকুমাশাসকের দফতরে একটি জরুরি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে ব্লকের ৬জন গ্রাম প্রধান ও বিডিও-র উপস্থিতিতে একাধিক অভিযোগের শুনানি হয়। সেখানে বিডিও-র বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের অভিযোগের সপক্ষে পঞ্চায়েত প্রধানরা প্রমাণ দিতে পারেননি বলে মহকুমা প্রশাসনের দাবি।

বস্তুত, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর থেকেই উন্নয়ন নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের সঙ্গে সুতাহাটার বিডিও-র মতের অমিল হচ্ছিল। পঞ্চায়েত-প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, হোড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতে এমএসডিপি প্রকল্পে একটি কাজের জন্য ৭ লক্ষ টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, ওই কাজের জন্য ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব পাঠানো হয়, তাতে বেঁকে বসেন গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ওই পঞ্চায়েতের প্রধান করবী কালসার দাবি, ওই ঠিকাদার যে তথ্য জমা দিয়েছিলেন, তা যাচাই করতে গিয়ে ভুয়ো বলে জানতে পারি। তাই তাঁকে ‘কালো তালিকা’ ভুক্ত করা হয়। ওই কাজের জন্য নতুন ঠিকাদার নিয়োগের তোড়জোড় শুরু হলে বিডিও আচমকাই কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন বলে পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ। শুধু হোড়খালি নয়, জয়নগর, চৈতন্যপুর, কুঁকড়াহাটি, আশাদতলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতেও উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে বিডিও-র বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। আশাদতলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিঠু বাখুলির কথায়, ‘‘সরকারি উন্নয়নের কাজ কী ভাবে এগোবে, কখনই আলোচনা করা হয় না। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া সম্মতিটুকুও নেওয়া হয় না।’’

যাঁর বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ, সুতাহাটার সেই বিডিও সঞ্জয় শিকদার অবশ্য বলছেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছিল, তার কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি অভিযোগকারীরা। শুনানিতে ওই সব অভিযোগ অসত্য বলে প্রমাণিত হয়।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং বিডিও, দু’তরফের বক্তব্য ও তার সপক্ষে জমা দেওয়া নথিপত্র রিপোর্ট আকারে জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে হলদিয়ার মহকুমাশাসক কুহক ভূষণ বলেন, ‘‘উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দু’পক্ষকে সমন্বয় করে উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন