Pradhan Mantri Awas Yojana

‘আবাস প্লাস’ নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

‘আবাস প্লাসে’র তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু হতেই বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। খাতায় কলমে তথ্য যাচাই হলেও উপভোক্তা চিহ্নিতকরণ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:০১
Share:

চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের গ্রামে ঘুরছেন আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র

‘আবাস প্লাস’ নিয়ে অশান্তি বাড়ছে ঘাটাল মহকুমায়।

Advertisement

কোথাও আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কোথাও সরাসরি ওই তালিকা মানা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সঙ্গে থাকছে পুলিশও।

‘আবাস প্লাসে’র তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু হতেই বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। খাতায় কলমে তথ্য যাচাই হলেও উপভোক্তা চিহ্নিতকরণ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল। এবার গ্রামসভা ডেকে সেই তালিকা প্রকাশ হতেই দিকে দিকে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন পঞ্চায়েতে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক বলছেন, “কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে গোলমাল হচ্ছে। তবে জেলা জুড়ে গ্রামসভাগুলি সফল ভাবেই সম্পন্ন হচ্ছে। তালিকা নিয়ে কোথাও কোনও সমস্যা নেই।”

Advertisement

শুক্রবার দাসপুর ১ ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ গ্রামসভা ডেকেছিলেন। ‘আবাস প্লাসে’র তালিকা প্রকাশের কথা শুনে সেখানে হাজার দেড়েক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন বলে খবর। সভা বসেছিল পঞ্চায়েত অফিসেই। তালিকা প্রকাশের পরে সেখানে ব্যাপক গোলমাল শুরু হয়। বিরোধীদের সঙ্গে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশও তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তোলেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, জেলা জুড়ে উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা তৈরি হলেও রাজনগরে তা হয়নি। তৃণমূলের অফিসে বসেই সেই তালিকা তৈরি হয়েছে। সেই তালিকায় তৃণমূল নেতাদের নাম থাকলেও প্রকৃত গৃহহীনদের নাম নেই। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তেজনা ছিল। সন্ধ্যার পরে ভিড় বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামলাতে দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছয়। ওসি মাইক হাতে নিয়ে উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সমস্যা দেখা যাচ্ছে অন্যত্রও। এর আগে চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভের ছবি সামনে এসেছিল। এবার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে তালিকা যাচাইয়ের কাজে যুক্ত আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে সরাসরি হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাড়িতে না পেলে সেন্টারে গিয়ে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। চলছে গালিগালাজ। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই প্রবণতা। ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর ক্ষোভ, “বাড়িতে এসে হুমকি দিচ্ছে। থানায় গেলে মেরে ফেলবে বলছে। সরকারি কাজ করে জুটছে অপবাদ।”

পরিস্থিতি বুঝতে শনিবার দিনভর চন্দ্রকোনা-২ এর বিডিও অমিত ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে খানডাঙা, গড়গড়িঘাটি,বেলিয়াডাঙা, মুড়াকাটা, কল্লা, খুড়শি প্রভৃতি গ্রাম পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক কেমপা হোন্নাইয়া। চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ আধিকারিকরাও ছিলেন। তালিকায় নাম না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা যাবে না বলেও সতর্ক করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন