হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধকে চড় মারার অভিযোগ উঠল ঠিকা-কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগে সোচ্চার হন রোগীদের একাংশ। অভিযোগ, কিছু বহিরাগত লোকজন হাসপাতালে ঢুকে ওই ঠিকা-কর্মীকে মারধরও করেন। পরে অবশ্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটেও যায়। এই ঘটনায় জঙ্গলমহলের জেলা হাসপাতালের বেআব্রু ছবিটা ফের প্রকাশ্যে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম শহরের বলরামডিহি এলাকার বাসিন্দা বছর সাতষট্টির নিতাই মান্না শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে গত শনিবার মেডিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। এ দিন সকালে হাসপাতালের খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারি সংস্থার এক কর্মী প্রাতরাশ দিতে আসেন। ওই সময় নিতাইবাবু পাশের শয্যায় বসে অন্য এক রোগীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। ওই কর্মী নিতাইবাবুকে প্রাতরাশ দিতে অস্বীকার করেন। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, সন্দীপ মাহাতো নামে ওই ঠিকা-কর্মী রাগের মাথায় নিতাইবাবুকে সজোরে থাপ্পড় কষিয়ে দেন। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন নিতাইবাবু। পরে তাঁর ছেলে তপন মান্না হাসপাতালে এসে ঘটনাটি জানতে পেরে ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে অভিযোগ জানান।
ইতিমধ্যে ওই ঘটনার কথা চাউর হয়ে যাওয়ায় কিছু যুবক এসে সন্দীপকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিম্ন মানের খাবার দেওয়ার পাশাপাশি, নিয়মিত ওয়ার্ড সাফাই করা হয় না বলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন রোগীর পরিজনরা। এ দিন হাসপাতালের সুপার মলয় আদক ঝাড়গ্রামে ছিলেন না। ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রসূন ঘোষ ওয়ার্ডে এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। আসে পুলিশও। তবে উভয়পক্ষ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। খাবার সরবরাহের বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সুভাষ দাস অবশ্য বলছেন, “ওই বৃদ্ধকে কেউ চড় মারেনি। বরং আমার কর্মীকেই মারধর করা হয়েছে। আমাকে হেয় করার জন্য সব মনগড়া অভিযোগ।”