রেশন না দেওয়ার নোটিসে বিতর্ক

রেশন না দেওয়ার হুঁশিয়ারি-নোটিস দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে রামগড় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।মিশন নির্মল বাংলা (এমএনবি) প্রকল্পে উপভোক্তারা প্রদেয় টাকা জমা না দিলে রেশন দোকান থেকে রেশন দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত অফিস থেকে কোনও রকম শংসাপত্রও দেওয়া হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৩৭
Share:

এই সেই নোটিস।নিজস্ব চিত্র।

রেশন না দেওয়ার হুঁশিয়ারি-নোটিস দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে রামগড় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

মিশন নির্মল বাংলা (এমএনবি) প্রকল্পে উপভোক্তারা প্রদেয় টাকা জমা না দিলে রেশন দোকান থেকে রেশন দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত অফিস থেকে কোনও রকম শংসাপত্রও দেওয়া হবে না। পঞ্চায়েত অফিস-সহ এলাকার বিভিন্ন দেওয়ালে পঞ্চায়েত প্রধানের নামে এমন পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এলাকায় মাইকে প্রচারও করা হচ্ছে। লালগড় ব্লকের রামগড় গ্রাাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের এমন ভূমিকায় অসন্তোষ ছড়িয়েছে এলাকায়।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলের উন্নয়ন নিয়ে সব সময় ভাবেন। অথচ তাঁর দলের একজন পঞ্চায়েত প্রধান কী ভাবে এমন নোটিস দিতে পারেন? প্রধান গঙ্গামণি সরেনকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর স্বামী জানান, “নোটিসে কাজ হয়েছে। উপভোক্তারা খেলাপি টাকা জমা দিতে শুরু করেছেন।”

Advertisement

মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে (এমএনবি) বাড়ি বাড়ি শৌচাগার বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। লালগড় ব্লকের রামগড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় চার হাজার উপভোক্তার নাম তালিকা ভুক্ত হয়েছে। ওই চার হাজার উপভোক্তার বাড়িতে সরকারি সহায়ক মূল্যে শৌচাগার বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এজন্য সরকারি প্রকল্পে শৌচাগার পিছু দশহাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এক্ষেত্রে প্রত্যেক উপভোক্তাকে বাধ্যতামূলক ভাবে ন’শো টাকা করে দিতে হয়। কিন্তু সিংহভাগ উপভোক্তা এখনও টাকা জমা দেননি। তাই থমকে রয়েছে প্রকল্পের কাজ। পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, বার বার তাগাদা দিয়েও উপভোক্তারা ন’শো টাকা করে জমা না দেওয়ায় ওই হুমকি দিতে হয়েছে।

লালগড়ের বিডিও জ্যোতিন্দ্রনাথ বৈরাগী বলেন, “এমন নোটিস দেওয়া যায় না। নোটিস দেওয়ার ব্যাপারে আমাকে কেউ অভিযোগ জানাননি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন